Advertisement
Advertisement

Breaking News

তৃণমূল

শান্তিপুরে তৃণমূল কর্মী খুনে বিধায়কের বিরুদ্ধে FIR, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য

খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

Santipur TMC worker murder case: FIR lodged, investigation underway
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:January 15, 2020 11:47 am
  • Updated:January 15, 2020 11:47 am

বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: শান্তিপুরে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে এক অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই খুনের ঘটনায় বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে এফআরএই দায়ের করা হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত।

স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎ মুখ বেঁধে ১০-১৫ জনের একটি দল শান্তিপুরের ব্রহ্মতলা এলাকায় ঢোকে। এলাকায় ঢুকেই শান্তনু মাহাতো নামে এক যুবককে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে তারা। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন শান্তনু। এরপরই এলাকায় বোমাবাজি করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। নজরে পড়তেই স্থানীয়রা ওই যুবককে উদ্ধার করে প্রথমে শান্তিপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে  তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেওয়া হয়। পথেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

Advertisement

যুবক খুনের পরই তাঁর পরিবার দাবি করে যে, তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন শান্তনু। বরাবরই চেয়ারম্যানের গোষ্ঠীর সমর্থক ছিলেন তিনি। অভিযোগ, বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য দীর্ঘদিন ধরেই শান্তনুকে তাঁর দলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। কিন্তু তাতে রাজি হননি শান্তনু। সেই কারণেই খুনের ছক। মৃতের স্ত্রী অভিযোগ করেন পরিকল্পনামাফিক খুনের আগে ওই এলাকার সিসিটিভিও নষ্ট করে দেয় অভিযুক্তরা। যদিও প্রথম থেকেই নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছেন বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য। এই খুনের ঘটনার সঙ্গে কোনওভাবেই রাজনৈতিক কোনও যোগ নেই, ব্যক্তিগত কারণে খুন হয়ে থাকতে পারে বলেই দাবি তাঁর। এমনকী ওই যুবক যে তৃণমূলের কর্মী তাও মানতে নারাজ বিধায়ক। তিনি সাফ জানিয়েছেন, তাঁর দলে কোনও দুষ্কৃতীর জায়গা হয় না। তাই কোনওভাবেই এই খুনের সঙ্গে তাঁর দলের কর্মীদের কোনও যোগ নেই। সেইসঙ্গে পর্যাপ্ত তদন্তেরও দাবি জানান তিনি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: অভিষেকের জায়গায় দিলীপ ঘোষের ছবি! সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের বিজেপি যুব মোর্চার]

তবে ওই যুবক তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী বলেই স্বীকার করেছেন চেয়ারম্যান অজয় দে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘‘পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে যে-ই যুক্ত থাকুক না কেন তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে, তা তিনি যে দলেরই হোন না কেন।’’ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্ত শুরু করা হয়েছে। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ