Advertisement
Advertisement
Mid day meal

যেন মা-বাবা! নিজেদের হাতে পড়ুয়াদের মিড-ডে মিলের খাবার খাওয়ালেন শিক্ষকরা

পড়়ুয়াদের খাওয়াতে নতুন চামচও কেনা হয়েছে, তা উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছে।

Teachers feed students of Amta school with own hands to celebrate Teachers' Day in unique way | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:September 7, 2023 3:16 pm
  • Updated:September 7, 2023 3:22 pm

মণিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: বাবা-মায়ের পর শিক্ষকদের (Teachers) ভূমিকাই তো জীবনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষকরাও তাই একপ্রকার অভিভাবক। গত মঙ্গলবার ছিল শিক্ষক দিবস (Teachers’ Day)। তাই শিক্ষক দিবসকে একটু অন্যভাবে স্মরণীয় করে রাখার উদ্যোগ নিলেন আমতার (Amta) সোনামুই সাবালয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্যর-ম্যাডামরা। শিক্ষক দিবসকে সামনে রেখে পিতৃমাতৃ স্নেহে বৃহস্পতিবার মিড-ডে মিলের খাবার সমস্ত পড়ুয়াকে খাইয়ে দিলেন নিজেদের হাতে। আর স্কুলের দিদিমনি-মাস্টারশাইদের হাতে এভাবে খেতে পেরে খুশি পড়ুয়ারা।

বৃহস্পতিবার আমতার সোনামুই সাবালয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনার পর স্কুল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, পরিকল্পনা ছিলই। মাঝে বুধবার জন্মাষ্টমীর ছুটি ছিল। তাই বৃহস্পতিবার স্কুল খুলতেই পড়ুয়াদের জন্য চমক! স্কুলে মোট ১৩০ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। এদিন ১০৬ জন ছাত্রছাত্রী উপস্থিত ছিল। তারা সকলেই মিড-ডে-মিল (Mid Day Meal) খেয়েছে। একা হাতে নয়, স্যর-ম্যাডামরাই খাইয়ে দিয়েছেন। পড়ুয়াদের খাওয়ানোর জন্য ১৩০ টি চামচ (Spoon) কেনা হয়েছিল। পড়ুয়াদের প্রত্যেককে নতুন চামচ নিয়ে নিজেদের হাতে ধরে মাস্টারমশাইরা পড়ুয়াদের খাইয়ে দিয়েছেন। পরে সেই চামচগুলি উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছে পড়ুয়াদের।

Advertisement

[আরও পড়ুন: যাত্রাপথে সেলফি ভারতের সৌরযান আদিত্যর, ক্যামেরাবন্দি পৃথিবী ও চাঁদের ছবিও]

প্রধান শিক্ষক অরুণকুমার পাত্র, সহ-শিক্ষক গোপাল দোলুই, অরিজিৎ কুণ্ডু, অলক বারিক ও শিক্ষিকা পিয়ালী মেউর – প্রত্যেকেই নিজেদের হাতে পড়ুয়াদের খাইয়ে দিয়েছেন। প্রধান শিক্ষক তথা ‘শিক্ষারত্ন’ পুরস্কার প্রাপ্ত অরুণকুমার পাত্র বলেন, ”আমরা এবার শিক্ষক দিবসকে একটু অন্যভাবে পালন করতে চেয়েছি। শিক্ষকরা ও পড়ুয়াদের একজন অভিভাবক। তাই তাদের সঙ্গে একটা ভালোবাসা ও স্নেহের বন্ধন থাকে। সে কথা মাথায় রেখে আমাদের এই উদ্যোগ। আমরা প্রত্যেকটি ছাত্রছাত্রীদের চামচে করে নিজে হাতে খাইয়ে দিয়েছি মা-বাবার স্নেহে। তারাও বেশ খুশি হয়েছে। আমরা ঠিক করেছি, প্রতি বছর এভাবেই দিনটিকে পালন করব। এছাড়া যেসব ছাত্রছাত্রীদের খেতে অসুবিধা হয়, আমরা তাদের খাইয়ে দিই। আগামী দিনেও দেব।” পড়ুয়ারাও আজ খুব খুশি। স্কুলের মাস্টারমশাই, দিদিমনিরা এভাবে নিজেদের হাতে খাইয়ে দেওয়ার মতো সুন্দর অভিজ্ঞতা তো আগে কখনও হয়নি! 

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘৯৯% পয়লা বৈশাখের পক্ষে’, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পর বিধানসভায় পাশ ‘বাংলা দিবস’ বিল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ