চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়,আসানসোল: মান্না দে সেই কবে গেয়ে গিয়েছেন, “যদি কাগজে লেখো নাম কাগজ ছিঁড়ে যাবে, পাথরে লেখো নাম সে পাথর ক্ষয়ে যাবে, হৃদয়ে লেখো নাম সে নাম রয়ে যাবে।” প্রেম ভালবাসার ক্ষেত্রে এই গানের কথা একেবারেই ঠিকঠাক হলেও ভোটের আবহে একটু ভিন্ন। ভোট বাজারে যে প্রার্থী জনতার হৃদয়ে থাকবেন তিনিই ইভিএমে ভোট পাবেন। তবে জনতার হৃদয় পর্যন্ত প্রার্থীকে পৌঁছতে হলে ভরসা সেই কাগজ বা পাথর।
[ আরও পড়ুন: উপনির্বাচনে উত্তাপহীন কৃষ্ণগঞ্জ, ২৯ এপ্রিল ভোট হলেও প্রচারের চিহ্নই নেই]
সেক্ষেত্রে কাগজ, ব্যানার, ফ্লেক্সের তুলনায় মজবুত পাথর। অন্তত ভোট প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত পাথরে লেখা নামে ক্ষয় ধরবে না। জামুড়িয়ার ভূতবাংলা মোড়ে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে পাথরে পাথরে দেখা মিলল সিপিএমের নির্বাচনী প্রতীক কাস্তে-হাতুড়ি-তারা চিহ্ন ও প্রার্থীর গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়ের নামে ভোটদানের আরজি লেখা। রানিগঞ্জ থেকে বীরভূমের যোগাযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এটি। পথচলতি দূরপাল্লার মানুষের নজরে পড়তে বাধ্য সিপিএমের এই অভিনব দেওয়াল লিখন। দেওয়াল না মেলায় পথের ধারে পাথরই ভরসা এখন বামেদের। রাস্তার ধারে খোলামুখ খনির ওভারবার্ডেন জমে পাহাড়ের আকার ধারণ করেছে। সেই ওভারবার্ডেনে রয়েছে মাটির সঙ্গে বড় বড় পাথরও। সেই পাথরগুলিতে সাদা চুনকাম করে লাল রঙে প্রতীকগুলি এমনভাবে আঁকা হয়েছে তাতে চোখে পড়বেই পথচলতি মানুষের। জামুড়িয়া সিপিএম নেতৃত্বের দাবি দেওয়াল না মেলাতেই খনির ওভারবার্ডেনের পাথরই ভরসা।
[ আরও পড়ুন: ভোটারদের সুস্থ রাখতে তৃণমূলের প্রার্থীর ‘প্রেসক্রিপশন’ সোয়াবিনের বড়ি]
সিপিএম জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মনোজ দত্ত বলেন, “বেশিরভাগ দেওয়াল দখল করে নিয়েছে শাসকদল। যদি কোনও দেওয়ালে সিপিএম প্রার্থীর নাম লেখা রয়েছে সেখানেও বাড়ির মালিককে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাই দেওয়াল না মেলায় পথের ধারে পাথরে পাথরে লেখা হচ্ছে সিপিএম প্রার্থীর নাম।”