Advertisement
Advertisement
Nandigram

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই অ্যাকশন! তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মারধরে নন্দীগ্রামে ধৃত ভিলেজ পুলিশ-সহ ২

তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর এবং মারধরের অভিযোগ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।

Village Police arrested in Nandigram after CM Mamata Banerjee directs | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:July 20, 2023 11:05 am
  • Updated:July 20, 2023 11:05 am

চঞ্চল প্রধান, হলদিয়া: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নন্দীগ্রামে (Nandigram) গ্রেপ্তার ভিলেজ পুলিশ সঞ্জয় ওরফে রাজু গুড়িয়া। ধৃত ভিলেজ পুলিশও এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত। ভোট পরবর্তী হিংসায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরও ২ জন বিজেপি কর্মীকে। নন্দীগ্রামে অশান্তিতে আহতদের বুধবারই দেখতে এসএসকেএমে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই রাজুকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভিলেজ পুলিশকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।

ধৃতরা হলেন সঞ্জয়(রাজীব) গুড়িয়া, নটুবিহারী দাস এবং স্বপন বারিক। তিন জনই নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকের ভেকুটিয়া গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা। এলাকার তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর এবং মারধরের অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধে। তবে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে সঞ্জয় গুড়িয়ার বিরুদ্ধে। ভেকুটিয়া এলাকার ভিলেজ পুলিশ হয়েও সঞ্জয় বিজেপি’র হয়ে তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলায় মদত দিয়েছেন বলে দাবি রাজ্যের শাসকদলের কর্মীদের। পুলিশি তকমা থাকার কারণে এলাকায় তাঁর দৌরাত্ম্য যথেষ্ট ছিল বলে গ্রামের বেশ কিছু বাসিন্দা জানিয়েছেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ঘরের বাইরে আওয়াজ শুনে টর্চ জ্বালতেই চলল গুলি, মৃত্যু মহিলার]

 

১১ জুলাই পঞ্চায়েত ভোট গণনার দিন ভেকুটিয়ায় রাতে তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের রাস্তায় ফেলে মারধরের ঘটনাতেও সঞ্জয় প্রত‍্যক্ষভাবে জড়িত বলেও অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সন্ধ্যায় নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ড থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে। সেদিন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের উপর নুটুবিহারী দাস,স্বপন বারিক-সহ অনেকেই চড়াও হয়েছিলেন বলেও সরব হয়েছেন ভেকুটিয়া গ্রামের মানুষ। নুটুবিহারী এবং স্বপনকে ভেকুটিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ।

Advertisement

তবে বিজেপি’র তমলুক সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক, তথা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা নির্বাচনী এজেন্ট মেঘনাদ পাল জানান, “তৃণমূল পঞ্চায়েত ভোটে নন্দীগ্রামের মাটি খুইয়েছে। তাই মিথ‍্যা অভিযোগ দিয়ে বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের গ্রেপ্তার করাচ্ছে। যাতে আমরা পঞ্চায়েত বোর্ড গড়তে না পারি সেজন্য এমন ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। তবে স্থানীয় মানুষ আমাদের পাশে আছেন। তাঁরাও ঠিক সময় জবাব দিতে প্রস্তুত ।” ভেকুটিয়া অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম জানান, এই গ্রেপ্তারের ঘটনাকে পূর্ণ সমর্থন করেছেন। তিনি বলেন,”গত বিধানসভার ভোটের সময় থেকেই এরা এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল । বহু তৃণমূল কর্মী বাড়িছাড়া। জখম। তাঁদের মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করায় পুলিশকে ধন্যবাদ।”

[আরও পড়ুন: পুড়ছে মণিপুর, ৭৮ দিন পর মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ