[পাহাড়ে একঘেয়েমি? অন্য স্বাদের খোঁজ পেতে চলুন সিটং]
ইতিমধ্যেই পাহাড়ে পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে। শিলিগুড়ি থেকে পর্যটকদের তিনশোরও বেশি গাড়ি রোজ পাহাড়মুখো হচ্ছে। ভিড় বাড়ছে টয়ট্রেনেও। পাহাড়ে পর্যটকদের ভিড় বাড়ায় টয়ট্রেনের জয় রাইডের সংখ্যা তিন থেকে বাড়িয়ে চার করা হয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী শিলিগুড়ি থেকে তিনধারিয়া পর্যন্ত ছুটছে টয়ট্রেনের ‘জঙ্গল সাফারি’। পর্যটকদের মন কাড়তে পাহাড়ের বুকে নামানো হয়েছে ব্রিটিশ আমলের ল্যান্ডরোভার গাড়ি। ফলে পর্যটনে ফের ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে শৈলশহর।
[হাত বাড়লেই সবুজের রাজ্য, মন ভাল করার রসদ জঙ্গলমহলে]
পর্যটন দপ্তরের লজ রয়েছে পাহাড়ে। দপ্তর সূত্রে খবর, দার্জিলিংয়ে একটি, কালিম্পংয়ে তিনটি, কার্শিয়াংয়ে একটি লজ রয়েছে। সেগুলির ‘লুক’ পরিবর্তন করে ঢেলে সাজাতে ইতিমধ্যেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কালিম্পংয়ের ডেলোতে সাড়ে নয় একর জমি পেয়েছে রাজ্য পর্যটন দপ্তর। সেই জমিতে রিসর্ট তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। কালিম্পংয়ের ভুটান সীমান্তের কাছে ঝালংয়ে নয়া রিসর্ট হবে। এজন্য জমি মিলেছে। শুক্রবার পর্যটন দপ্তরের আধিকারিকরা ঝালংয়ে এই রিসর্ট তৈরির স্থান পরিদর্শন করেন। চালসায় হচ্ছে নয়া রিসর্ট। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। এজন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। রাজ্য পর্যটন দফতরের উপ অধিকর্তা (উত্তরবঙ্গ) সম্রাট চক্রবর্তী বলেন, “পর্যটকদের মুশকিল আসানে এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সুলুক সন্ধানে পাহাড়ে টু্রিস্ট ইনফরমেশন সেন্টার হবে। এজন্য জেলাশাসকের কাছে জমি চাওয়া হয়েছে। আপাতত ঠিক হয়েছে দার্জিলিংয়ে একটি ও কালিম্পংয়ে একটি পর্যটনকেন্দ্র হবে। তবে মিরিকেও এই কেন্দ্র করার বিষয়টি ভাবনায় রয়েছে।”