সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শোকে পাথর নয়, শোক সহ্য করতে না পেরে প্রাণটাই দিতে হল তাঁকে। বিহারের পূর্ণিয়ার বাড়িতে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল সুশান্ত সিং রাজপুতের (Sushant Sing Rajput) বউদির। পরিবার সূত্রে খবর, অভিনেতার আত্মঘাতী হওয়ার খবর শোনার পর থেকেই তিনি নাওয়াখাওয়া ছেড়েছিলেন। এরপর ধীরে ধীরে এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েন যে শেষপর্যন্ত বাঁচানো যায়নি সুধা দেবী নামে সুশান্তের ওই আত্মীয়াকে।
রবিবার দুপুরে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো নেমে এসেছিল দুঃসংবাদটা। বান্দ্রার ফ্ল্যাটে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলিউডের তরুণ, জনপ্রিয়, প্রতিভাশালী অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত। কারণ নিয়ে একাধিক ধোঁয়াশা তৈরি হয়। তা নিয়ে চর্চা হয়েছে বিস্তর, তা চলবেও। মানসিকভাবে অবসাদই তাঁকে আত্মহত্যার পথে ঠেলে দিয়েছে, এই অনুমান জোরদার হলেও, তা এখনও প্রমাণসাপেক্ষ। তবে সুশান্তের এই মৃত্যু তাঁর আত্মীয়-পরিজনদের কতটা মানসিক বিপর্যয়ের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে, তার প্রমাণই বোধহয় মিলল সোমবার সন্ধেবেলা। মুম্বইতে অভিনেতার শেষকৃত্যে যখন শামিল পরিবার, সেসময়ই বিহারের পূর্ণিয়ায় নিজের বাড়িতে ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সুশান্তের বউদি সুধা দেবী।
[আরও পড়ুন: পেশাগত বিদ্বেষই কি প্রাণ কাড়ল সুশান্তের? ধোঁয়াশা কাটাতে তদন্তের আশ্বাস মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর]
সম্পর্কে সুশান্ত সিং রাজপুতের এক তুতো দাদার স্ত্রী ছিলেন সুধাদেবী। দেওর-বউদির মধ্যে চিরকালীন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কই ছিল। কিন্তু মাত্র ৩৪ বছর বয়সে সুশান্ত এভাবে আত্মহননের পথে বেছে নেবেন, দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি পরিবারের কেউ। অথচ বাস্তবে হল তাই। পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার সুশান্তের আত্মহত্যার খবর পাওয়ার পর থেকেই কার্যত শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন সুধা দেবী। নাওয়াখাওয়া ভুলেছিলেন তিনি, বন্ধ করেছিলেন কথা বলাও। মাত্র একদিনের মধ্যেই প্রাণবায়ু নিভে গেল তাঁর। পরিবারের সদস্যদের দাবি, সুশান্ত সিং রাজপুতের এভাবে অকালে চলে যাওয়ার বেদনা সহ্য করতে পারেননি তিনি। মনে মনে সেই আঘাতই তাঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিল।