Advertisement
Advertisement
রুদ্রনীল

টলিউড থেকে ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনা, ‘ভিঞ্চি দা’ মুক্তির আগে অকপট রুদ্রনীল

জানেন টলিউডের কোন অভিনেত্রী রুদ্রনীলের প্রিয়?

Rudranil Ghosh talks about his upcoming venture Vinci Da
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:April 4, 2019 9:50 pm
  • Updated:April 4, 2019 9:50 pm

নতুন বছরের অন্যতম বড় ছবি ‘ভিঞ্চি দা’ মুক্তির অপেক্ষায়। প্রেক্ষাগৃহে আসছে এপ্রিলেই। ছবিতে তাঁর চরিত্র থেকে ব্যক্তিগত মতামত সব নিয়ে অকপট রুদ্রনীল ঘোষ। আড্ডায় আরাত্রিকা দে৷

ভিঞ্চিদার চরিত্রটা নিয়ে জানতে চাইব ?
– আমি ভিঞ্চিদা, পেশায় একজন মেকআপ আর্টিস্ট। যার বাবা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেই সুবাদেই টলি পাড়ায় তাঁর যাতায়াত। ঘড়ি ধরে কাজ করা তাঁর ধাতে নেই। যেই সময় হলিউড, বলিউডে মেকআপ নিয়ে বিস্তর গবেষণা চলছে, সেই সময় দাঁড়িয়ে ভিঞ্চিদা বিশ্বাস করেন বিনিয়োগ কম থাকলেও টলিউডেও এমন কাজ হওয়া সম্ভব। তার আবেগই এক উন্নতমানের কাজের পরিচয় দিতে পারবে। সুতরাং একসময় তাঁর পেশাটাই হয়ে ওঠে তাঁর নেশা। এককথায় বলা যায় ভিঞ্চিদা, আমাদের পাশের গলিতে থাকা কোনও এক মানুষের গল্প।

Advertisement

তবে কি সত্যি টলিউড কাজ করতে গিয়ে কোয়ালিটি কম্প্রোমাইজ করতে হয়?
– অবশ্যই। কারণ টলিউডে, আমাদের কম্পিটিশনটা করতে হয় আন্তর্জাতিক মানের কিন্তু বাজেটটা থাকে সীমিত। হলিউড আন্তর্জাতিক ভাষা। বলিউড গোটা দেশের ভাষা। সুতরাং বিনিয়োগ করা টাকা উঠে আসা সহজ। কিন্তু টলিউড আঞ্চলিক একটা বিষয়। তাই কম বাজেটেও ভিঞ্চিদাদের উন্নতমানের কাজ দেওয়ার বিকল্প রাস্তা খুঁজতে হয়।

Advertisement

সম্প্রতি সাড়া ফেলেছে দীপিকা পাডুকোনের আগামী ছবি ছপাকের ফাস্ট লুক, বাংলায় এমনটা হয় না কেন?
– কারণ এটা দীপিকা পাডুকোন, তবে এই কথাটা আমি বাজি রেখে বলতে পারি ভিঞ্চিদায় অপ্রকাশিত এমন জিনিস আছে যা দেখলে বলিউডও চিন্তায় পড়বে। কারণ ভাল কাজের মূল্যায়ণ তো হবেই। যেমন আজকে আমি এইটুকু বলতে পারি ভারতবর্ষের মতো তৃতীয় বিশ্বের এই দেশে অভিনয় জগতের দুই স্তম্ভ আমায় বাইনেমে চেনেন তাঁরা হলেন- ওম পুরী, অপরজন নাসিরউদ্দিন শাহ। এটাই আমার প্রাপ্তি। (হাসি)

বলিউডে কাজ করার সুযোগ আসেনি কখনও?
– আসছে। কিন্তু কিছু মতামতের অমিল আছে। যেদিন মিলে যাবে নিশ্চয়ই কাজ করব।

ভিঞ্চিদার সঙ্গে রুদ্রনীল ঘোষের কি মিল খুঁজে পাও?
– আজকের রুদ্রনীল ঘোষের সঙ্গে কোনও মিল পাই না কারণ আজ রুদ্রনীল ঘোষ প্রতিষ্ঠিত, যিনি কথা বলতে পারেন, তার একটা নির্দিষ্ট ধরন আছে। কিন্তু ভিঞ্চিদার সেটা নেই। আমি শুধু এইটুকু বলতে পারি, অভিনয় করে যখন স্ক্রিন এর দিকে তাকিয়েছি, তখন রুদ্রনীল ঘোষকে দেখতে পেয়েছি। ভিঞ্চিদাকে দেখতে পাই।

এমন কোনও কাঙ্ক্ষিত চরিত্র আছে যেটা তুমি করতে চাও?
– হ্যাঁ ডাফ, অ্যান্ড ব্লাইন্ড ক্যারেক্টার। এই প্রসঙ্গে বলতে চাই ‘রাজকাহিনী’র সময় সৃজিত আমায় এসে স্কিপটা দিয়ে বলে “তুই কোন চরিত্রটা করতে চাস?” আমি সুজনের ক্যারেক্টরটা বেছে নিই। কারণ এই চরিত্রটা ভিড়ের পিছনে থাকে, যদি আমি এটা ভাল করে পোট্রেট করতে পারে তবে দর্শক আমায় ভিড় সরিয়ে খুঁজে নেবেন (হাসি)। হিন্দিটা করার পর বিদ্যা বালান আমায় নিজে বলেছে রুদ্র হিন্দিটা তুমি করোনি, তাই আমার খুব রাগ হয়েছিল। “আই ওনলি ক্রাইডি ফর ইউ”। এটাই আমার প্রাপ্তি।

এই সময় তোমার চোখে সেরা অভিনেতা কে?
– অনেকেই আছেন। কিন্তু একজনের নাম নিতে হলে যিশু সেনগুপ্ত।

সেরা অভিনেত্রী?
সোহিনী সরকার

সেরা পরিচালক?
– হৃদয়ের গল্প বলার ক্ষেত্রে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। ড্রামার ক্ষেত্রে সৃজিত মুখোপাধ্যায়

রাজনীতির মঞ্চে এখন প্রকট নয় কেনও?
– আমার মতের সঙ্গে, আমার ইচ্ছার সঙ্গে যেদিন রাজনৈতিক ভাবনাচিন্তা মিলবে, সেদিন নিশ্চিত যাব।

ছবি : শুভেন্দু চৌধুরি

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ