Advertisement
Advertisement

Breaking News

উজড়া চমন

জমল না টাকের গল্প, মন ভরাতে ব্যর্থ ‘উজড়া চমন’

চিত্রনাট্য থেকে অভিনয়, খামতি সবেতেই।

Read movie review of Sunny Singh starrer ‘Ujda Chaman’
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:November 1, 2019 5:06 pm
  • Updated:November 1, 2019 5:06 pm

বিশাখা পাল: মুক্তির আগে থেকেই বিতর্কে ‘উজড়া চমন’। কারণ ব্যাক টু ব্যাক মুক্তি পাচ্ছে তিনটে ইন্দ্রলুপ্তের ছবি। প্রথমটা ‘উজড়া চমন’, পরের দু’টি ‘বালা’ ও ‘টেকো’। প্রতিটি ছবির বিষয়বস্তু একই- টাক। এই তিনটি ছবির মধ্যে প্রথম মুক্তি পেল ‘উজড়া চমন’। তাই এই নিয়ে কৌতূহল ছিল তুঙ্গে। কিন্তু পরিচালক অভিষেক পাঠক সেই কৌতূহল নিরসন করতে পারলেন কই? যতটা আশা করা হয়েছিল, ঠিক ততটাই হতাশ করল ‘উজড়া চমন’। গোটা ছবিটাই যেন টেনেটুনে বাড়ানো।

টেকো হওয়া একটা বড়সড় সমস্যা। মাথায় ইন্দ্রলুপ্ত থাকলে কোনও মেয়ে ঘুরেও তাকায় না। বয়সকালে না হয় টাক পড়ে যাওয়া এক ব্যাপার। বিয়ে হয়ে গেলেও নয় কথা ছিল। কিন্তু ৩০ বছরের এক যুবকের পক্ষে স্রেফ টাকের জন্য বিয়ে আটকে যাওয়া যথেষ্ট যন্ত্রণার। চমনের গল্প কিছুটা তেমনই। হয়েছে হাজার চেষ্টা করেও পাত্রী তার জোটে না। টাকের জন্য পদে পদে অপদস্থ হতে হয় তাকে। সরকারি কলেজের প্রফেসরের চাকরি তাকে সুবিধা দিতে পারে না। কপালে একটা প্রেমও জোটে না তার। যাদেরই পছন্দ হয়, তারাই টাকের জন্য সরে যায় চমনের থেকে। ইন্দ্রলুপ্ত নিয়ে চমনের এই সমস্যা দিনদিন বাড়তে থাকে। কিন্তু কলেজেরই এক ছাত্রী চমনকে সবুজ সংকেত দেয়। প্রেম জমে ক্ষীর। কিন্তু এ আর কতদিন? একসময় হয় পর্দাফাঁস। চমনকে ফাঁসিয়ে প্রশ্নপত্র নিয়ে চম্পট দেয় সে।   

Advertisement

[ আরও পড়ুন: তুখড় অভিনয়, অব্যর্থ লক্ষ্যভেদ ভূমি-তাপসীর ]

udja-chaman1

Advertisement

মোটামুটি ছবির প্রথমার্ধ্বটা এসব থোড় বড়ি খাড়া করতে গিয়েই কেটে যায়। এত ধীর গতিতে প্রথম এক ঘণ্টা গড়িয়েছে, তাতে যে কেউ আগ্রহ হারাতে পারে। ছবির দ্বিতীয়ার্ধ্বও তথৈবচ। এখানেই প্রবেশ ঘটেছে ছবির নায়িকা মানবী গাগরুর। তিনি ভাল অভিনেত্রী। কিন্তু এখানে তাঁর সত্যিই কিছু করার ছিল না। গল্পটাই বড় দুর্বল। গোদের উপর বিষফোড়া হল ছবির সংলাপ। ‘ভার্জিন’ বা ‘টেস্টোস্টেরন’ বোঝানোর সংলাপগুলি যেন জোর করে হাসানোর চেষ্টা। পরিচালক মনেপ্রাণে একটি কমেজি ছবি বানাতে চাইলেও কমেডিটারই যেন অভাব বড বেশি করে চোখে পড়ে। যদিও ছবির মধ্যে একটি মেসেজও আছে। চেহারা দেখে কখনও প্রেমে পড়তে নেই। ভিতরের সৌন্দর্যটাই আসল। কিন্তু এই চিরাচরিত ধারণাটিও দর্শকদের মনে দাগ কাটতে পারেনি চিত্রনাট্যের খামতির জন্য। চোখে জল আনার কিছু সুযোগ ছিল। পরিচালক সেই জায়গাগুলোয় সমীকরণ মেলানোর চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু দর্শকের মনে দাগ কাটতে তিনি অসমর্থ।

ছবির নায়ক সানি সিংয়ের অভিনয় অত্যন্ত দুর্বল। চরিত্রের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করতে পারেননি তিনি। ‘পেয়ার কা পঞ্চনামা ২’ বা ‘সোনু কি টিট্টু কি সুইটি’তে তিনি যেমন, এখানেও তার ব্যতিক্রম নয়। সৌরভ শুক্লা তো অভিনয় দেখানোর জায়গাই পেলেন না। পরিচালক অভিষেক পাঠককে আরও পরিণত হতে হবে। ওয়ানলাইনার হিসেবে ‘উজড়া চমন’ ছবির গল্পটা মন্দ নয়। কিন্তু চিত্রনাট্যের বাঁধুনি, পরিচালকের দুর্বলতা আর অভিনয়ের ঘাটতিতেই ডুবে গেল ইন্দ্রলুপ্তের কাহিনি।

[ আরও পড়ুন: নির্ভেজাল কমেডির অভাব, বুনোটেই খামতি ‘হাউজফুল ৪’-এর ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ