Advertisement
Advertisement
বন্যা

ভয়াবহ বন্যায় ভাসছে বিহার, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭

অসমেও বুধবার পর্যন্ত ২৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।

67 killed in Bihar floods as situation remains grim, over 46 lakh affected
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:July 18, 2019 12:48 pm
  • Updated:July 18, 2019 12:48 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এখনও উন্নতি হয়নি বিহার ও অসমের বন্যা পরিস্থিতির। এর জেরে শুধু বুধবারই ৪৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে দুটি রাজ্য থেকে। আর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিহার ও অসমে বন্যার জেরে যথাক্রমে ৬৭ ও ২৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মিজোরামেও বন্যার জন্য এখনও পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

[আরও পড়ুন- অযোধ্যা মামলায় বাড়ল মধ্যস্থতার সময়, পরবর্তী শুনানি ২ আগস্ট  ]

বিহার প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নেপাল হয়ে বিহারে আসা বাগমতী নদীতে বন্যা হওয়ার জেরে রাজ্যের পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। সীতামারি, শেহর, মুজাফ্ফরপুর ও খাগারিয়া জেলার অবস্থা খুবই সঙ্গীন। বুধবার নতুন করে জল বাড়ার ফলে সীতামারিতে ১৭ জন ও শেহর জেলায় ন’জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১২টি জেলার ৯২টি ব্লকের ৮৩১টি পঞ্চায়েতের প্রায় ৪৭ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এই বন্যার জেরে। গত কয়েকদিন নেপালে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণসামগ্রীর পাশাপাশি মেডিক্যাল টিমও পাঠানো হয়েছে। বন্যাজনিত কারণে কোনও রোগ যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে তার জন্যে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে।

Advertisement

অন্যদিকে, অসমে ১৭ জুলাই পর্যন্ত বন্যাজনিত কারণে মোট ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অসম স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (এএসডিএমএ) সূত্রে খবর, রাজ্যের ৩৩টি জেলার মধ্যে ৩০টি জেলা বন্যাকবলিত। এর ফলে ৪ হাজার ৬২৬টি গ্রামের ৫৭ লাখ ৫১ হাজার ৯৩৮ জন মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। তাঁদের আশ্রয়ের জন্য রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ৪২৭টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন- জল্পনার অবসান, ২২ জুলাই ফের অভিযানে নামতে চলেছে চন্দ্রযান-২]

বুধবার মরিগাঁও জেলায় চারজন, শোণিতপুর ও উদলগিরি জেলায় দু’জন করে মারা গিয়েছেন। আর কামরূপ ও নগাঁও জেলায় মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। রাজধানী গুয়াহাটি-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্র নদী। ফলে কাজিরাঙ্গা, মানস ন্যাশনাল পার্ক ও পবিতোড়া ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারির বেশিরভাগ এলাকা জলের তলায় চলে গিয়েছে। ফলে এই তিনটি জায়গা থাকা হরিণ-সহ অন্য পশুরা কার্বি আংলং হিলের উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে।

এদিকে এই পরিস্থিতির মধ্যে বিতর্কে জড়িয়েছেন বিহারের বিজেপি নেতা ও উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি। রাজ্য যখন বানভাসি তখন তিনি বলিউড অভিনেতা হৃত্বিক রোশনের সঙ্গে দেখা করে নতুন সিনেমার জন্য শুভেচ্ছা জানান বলে জানা গিয়েছে। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ