Advertisement
Advertisement
সংসদ

কংগ্রেসের ৭ সাংসদের সাসপেনশন তুলে নিলেন লোকসভার স্পিকার

অধিবেশনের শুরুতেই ফের হই হট্টগোল লোকসভায়।

7 Congress MP`s Suspension revoked by Speaker
Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:March 11, 2020 4:09 pm
  • Updated:March 11, 2020 4:09 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদের আচরণ বিধি না মানায় ও অভব্য আচরণ করায় গত সপ্তাহেই বহিষ্কার করা হয় কংগ্রেসের ৭ সাংসদকে। বুধবার লোকসভার অধিবেশনের শুরুতে তাদের উপর থেকে সেই আদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। অন্যদিকে, হোলির পরই দিল্লি হিংসা নিয়ে আলোচনা হবে সংসদে, ঘোষণা করেছিলেন লোকসভা অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। তবে এদন সংসদে আলোচনা শুরু পরই ফের শুরু হয় হই-হট্টগোল। দুপুর দেড়টা পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয় সংসদের নিম্নকক্ষ।

বাজেট অধিবেশনের (Budget Session) দ্বিতীয় পর্বের আলোচনা শুরুর পর থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় সংসদের কক্ষে। দিল্লির উত্তর-পূর্ব প্রান্তের হিংসা(Delhi violence) নিয়ে কেন আলোচনা করা হচ্ছে না, সরকার পক্ষ কেন এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করছে না, সংসদে তা জানতে চেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বিরোধীরা। গত সপ্তাহে তারা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখায়, কেউ বা একে অপরকে কাগজের বল ছুঁড়ে মারেন। সংসদে থেকে অধিবেশন চলার সময় আচরণ বিধি ও নিয়মভঙ্গের অভিযোগে গৌরব গগৈ-সহ ৭ কংগ্রেস সাংসদকে বহিষ্কার করা হয়। জানানো হয়, ৩ এপ্রিল পর্যন্ত চলা এই অধিবেশনে তারা অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

Advertisement

তবে এদিন তাদের উপর থেকে আদেশ প্রত্যাহার করে নেন অধ্যক্ষ। গত সপ্তাহে যখন এই কংগ্রেস সাংসদদের বরখাস্ত করা হয় সেই সময়ে গোটা ঘটনায় নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরি। বিষয়টিকে ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। যদিও সেই সময়েই দলের ওই ৭ সাংসদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “হতাশ হবে না”। এই বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে কংগ্রেস। জানা যায়, এরপরেই স্পিকার ওম বিড়লাকে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অনুরোধ জানায় কংগ্রেস। বিরোধী দলগুলি তাঁর কাছে এই সাসপেনশন প্রত্যাহারের অনুরোধও জানায়। এরপরেই কংগ্রেস সাংসদদের চলতি অধিবেশন থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেন তিনি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: জল্পনার অবসান, জেপি নাড্ডার হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিলেন সিন্ধিয়া]

বিরোধীদের বিক্ষোভকে প্রশমিত করতে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা হোলির পর এই বিষয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানালেও তখন থামানো যায়নি বিরোধীদের বিক্ষোভ। তবে এদিন এই বিষয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার পরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সংসদ। হই-হট্টগোলের জেরে কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয় সংসদের কাজ। এরপরেই ফের শুরু হয় সংসদের নিম্নকক্ষের আলোচনা। দিল্লিতে হিংসায় প্রায় ৫৭ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন প্রায় দুশো মানুষ।

[আরও পড়ুন: করমর্দনের বদলে নমস্কার করুন, করোনার সংক্রমণ রুখতে পরামর্শ কর্নাটক সরকারের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ