Advertisement
Advertisement
তবলিঘি

কেন্দ্রের কালো তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ, সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জামাতের ৭ বিদেশি সদস্যের

জামাতের ২৫০০ বিদেশি সদস্যকে কালো তালিকাভুক্ত করেছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

7 Foreigners, Blacklisted For Islamic Sect Event, Approach Supreme Court

ফাইল ফটো

Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:June 21, 2020 5:53 pm
  • Updated:June 21, 2020 5:53 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য সংবাদের শিরোণামে উঠে এসেছিল তবলিঘি সদস্যদের নাম। দিল্লির নিজামুদ্দিনের জামাত সদস্যদের উপরেই সেই দায় চাপানো হয় বারংবার। ফলস্বরূপ এই জামাতের বিদেশি সদস্যদের কালো তালিকাভুক্ত (blacklist ) করা হয় ভারতে। এবার সেই সিদ্ধান্তকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়েই দেশের শীর্ষ আদালতে আবেদন করলেন জামাতের ৭ বিদেশি সদস্য।

মাত্র কয়েকমাসের আগের ঘটনা। লকডাউনের প্রথম দিকেই নিজামুদ্দিনের জামাত সদস্যদের নিয়ে হইচই শুরু হয় দেশ জুড়ে। দেশে সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য প্রত্যক্ষভাবে তাদের দিকেই উঠতে থাকে অভিযোগের আঙুল। জামাতে যোগ দেওয়ার জন্য ভুলের মাশুল হিসেবে ২ হাজারের বেশি জামাতের বিদেশি সদস্যদের ভারতে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই এবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আবেদন করলেন জামাতের সাত বিদেশি সদস্য। জানা গিয়েছে, এই সাত ব্যক্তির মধ্যে দু’জন তাইল্যান্ডের এবং একজন করে যথাক্রমে কেনিয়া, মালি, মরক্কো, টিউনিসিয়া ও মালয়েশিয়ার বাসিন্দা। তাঁরা দেশের শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদন করেন যে, তাঁদের যেন কালো তালিকা থেকে বের করা হয়। কারণ, তা না হলে আগামী ১০ বছর তাঁরা ভারতে প্রবেশ করতে পারবেন না।

Advertisement

[আরও পড়ুন:প্লাজমা থেরাপিতে মিলছে ফল, করোনাকে হারিয়ে সুস্থতার পথে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী]

সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা পিটিশনে বলা হয়েছে, “চলতি বছরের ২ এপ্রিল ৯৬০ বিদেশিকে কালো তালিকাভুক্ত করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ৪ জুন প্রায় ২৫০০ বিদেশিকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। এই পদক্ষেপ সম্পূর্ণ বেআইনি। এর ফলে ভারতীয় সংবিধানের ২১ নম্বর ধারা ভঙ্গ করা হয়েছে। কারণ, যাঁদের কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, তাঁদের বক্তব্য শোনা হয়নি, বা এই সংক্রান্ত কোনও নোটিস তাঁদের দেওয়া হয়নি।” এই জমায়েতের জন্য জামাত প্রধান মৌলানা সাদ কান্দালভির বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করে দিল্লি পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির মামলাও আনে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement directorate)। যদিও এখনও পর্যন্ত জামাত প্রধানের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।

Advertisement

[আরও পড়ুন:চিন সীমান্তে সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা! নিরাপত্তা খতিয়ে দেখে ঘোষণা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর]

মার্চ মাসে দিল্লির এই জামাতে অংশ নিতে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ, তাইল্যান্ড-সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সদস্যরা ভারতে আসেন। জামাতের পরও তাদের সকলকে একটি বাড়িতে রাখা হয়। সেই সময়ই দেশে ক্রমেই বাড়তে থাকে করোনার সমংক্রমণ। কয়েক দিনের মধ্যেই ভারতে সংক্রমণের মাত্রা ১৫ হাজারের গণ্ডি ছাড়ায়। ফলে আতঙ্ক দেখা দেয় সকলের মনে। তবে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে জামাত নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তখন অবশ্য দিল্লি প্রশাসন নিজের সমস্ত দায় ঝেড়ে জমায়েতে অনুমতি দেওয়ার কথা অস্বীকার করে। তাদের না জানিয়েই জমায়েত করা হয়েছিল বলে জানান তারা। তারপরই কেন্দ্রের তরফ থেকে এই কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ