Advertisement
Advertisement
আমেদাবাদ

আসছেন ট্রাম্প, গরিবি লুকোতে বসতির পাশে দেওয়াল উঠছে মোদির রাজ্যে!

গরিবি হঠাতে নয়, লুকোতে বেশি সচেষ্ট বিজেপি সরকার!

Ahmedabad Municipality to build half-a-kilometre long wall
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:February 13, 2020 8:15 pm
  • Updated:February 13, 2020 8:39 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিন দশেক বাদেই আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ‘হাউডি মোদি’র ধাঁচে আমেদাবাদে ঝাঁ-চকচকে অনুষ্ঠানে স্বাগত জানানো হবে তাঁকে। উপস্থিত থাকবেন কয়েক হাজার অতিথি। এই অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘কেম ছো ট্রাম্প’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে গুজরাটের প্রথাগত ডান্ডিয়াও খেলবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সব মিলিয়ে আমেদাবাদজুড়ে রীতিমতো এলাহী আয়োজনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শহরজুড়ে গনগনে আলো। কিন্তু, প্রদীপ যেমন আছে, অন্ধকারও তেমনি আছে। আমেদাবাদ শহরের মাঝ বরাবর ঝুঁপড়ি বেঁধে বাস করেন প্রচুর মানুষ। এঁদের অধিকাংশই দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী। মার্কিন প্রেসিডেন্টের নজর থেকে এঁদের দারিদ্র আড়াল করতে তাই উঠেপড়ে লেগেছে আমেদাবাদ পুরসভা। ঝুপড়িবাসীর গরিবি দূর না করে, আপাতত তা লুকিয়ে রাখতেই সচেষ্ট তাঁরা। 

PM Modi & Donald Trump

Advertisement

 

Advertisement

[আরও পড়ুন: বচসার জের! আদালত চত্বরে আইনজীবীকে বোমা মারার অভিযোগ সহকর্মীর বিরুদ্ধে]

আমেদাবাদ পুরসভা মনে করছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সামনে বসতিবাসীর এই দুর্দশা প্রকাশ্যে চলে এলে তা আমেদাবাদ শহর তথা দেশের জন্য ভাল বিজ্ঞাপন হবে না। তাই, যেনতেনপ্রকারণে ট্রাম্পের সফরের সময় ঝুগ্গা বসতিটিকে আড়াল করতে চাইছে প্রশাসন। শহরের মাঝ বরাবর আমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে সর্দার প্যাটেল মোটেরা স্টেডিয়াম পর্যন্ত রাস্তা মেরামত করা হচ্ছে। সেই সঙ্গেই এই রাস্তার ধারে যে বিস্তির্ণ অঞ্চলজুড়ে ওই বসতিটি আছে, সেই অঞ্চলে আধ কিলোমিটার রাস্তায় তৈরি করা হচ্ছে কংক্রিটের দেওয়াল। এতে বেজায় অখুশি বসতিবাসী। 

Ahamedabad-Wall

[আরও পড়ুন: ব্রাত্য মমতা-রাহুল! কেজরিওয়ালের শপথে আমন্ত্রণ পাচ্ছেন না বিরোধী নেতারা]

ঝুগ্গা বসতির বাসিন্দা এক যুবক বলছেন, “এভাবে সরকার আসলে গরিবদের অপমান করছে।আমাদের নিয়ে যদি সরকারের এতই সমস্যা, তাহলে গরিবি দূর করতে কার্যকরী পদক্ষেপ করলেই তো হয়।” বসতির অন্য বাসিন্দাদেরও একই কথা। তবে তাঁরা বলছেন, এই বঞ্চনা নতুন কিছু নয়। এর আগে যখন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এলেন, বা চিনের শি জিংপিং এলেন, তখনও তাঁদের বসতি ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। তবে, এতদিন ওই বসতি এলাকায় দেওয়া হত পর্দা। এবার একেবারে সরাসরি কংক্রিটের দেওয়াল তোলা হচ্ছে। বাসিন্দারা বলছেন, এই বসতিতে এমনিতেই তাঁদের জীবন দূর্বিষহ। এবার তা আরও কঠিন হবে। শহরের ভিতরে ঢুকতে হলে, অনেক ঘুরে ঘুরে যেতে হবে।পুরসভার চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, তাঁর সাফ কথা, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ