আদমশুমারির প্রস্তুতি বৈঠকে অমিত শাহ।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহন এবং অন্য় ঊর্ধ্বতন কর্তাদের সঙ্গে জনগণনার প্রস্তুতি বৈঠক সারলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবারই জনগণনা সংক্রান্ত সরকারি নোটিস প্রকাশ করবে কেন্দ্র। একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল, দেশে পুরোদমে জনগণনা শুরু হবে ঠিক দু’বছর পরে। যে রাজ্যগুলিতে বরফ পড়ার সম্ভাবনা থাকে, সেই রাজ্যগুলি বাদে বাকি সমস্ত রাজ্যে জনগণনা শুরু হবে ২০২৭ সালের ১ মার্চ। অন্যদিকে হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, লাদাখ ও জম্মু কাশ্মীরের মতো রাজ্যগুলিতে জনগণনার কাজ শুরু হবে ২০২৬ সালের ১ অক্টোবরে। অর্থাৎ আর ১৬ মাস পরেই।
রবিবার এক্স হ্যান্ডেল জনগণনা প্রস্তুতি বৈঠকের ছবি দিয়ে অমিত শাহ জানিয়েছেন, “১৬তম জনগণনার প্রস্তুতি বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। এই প্রথম আদমশুমারিতে জাতিগণনাকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ৩৪ লক্ষেরও বেশি গণনাকারী এবং তত্ত্বাবধায়ক এবং প্রায় ১.৩ লক্ষ আদমশুমারি কর্মী অত্যাধুনিক মোবাইল, ডিজিটাল গ্যাজেট ব্যবহার করে এই কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।”
Reviewed the preparations for the 16th Census with senior officials.
Tomorrow, the gazette notification of the census will be issued. The census will include caste enumeration for the first time. As many as 34 lakh enumerators and supervisors and around 1.3 lakh census… pic.twitter.com/wkvJda7J4e
— Amit Shah (@AmitShah) June 15, 2025
প্রতি ১০ বছর অন্তর আদমশুমারি হয়ে থাকে। কিন্তু ২০১১-র পর এ দেশে আর জনগণনা হয়নি। ২০২১ সালে জনগণনা হওয়ার থাকলেও করোনা অতিমারীর জেরে সেটা পিছিয়ে দেওয়া হয়। শোনা গিয়েছিল, ২০২৩ সালে জনগণনা হতে পারে। কিন্তু ভোটের আগে সে পথে হাঁটেনি মোদি সরকার। সব মিলিয়ে মোদি জমানায় একবারও জনগণনা হয়নি। তাতে সরকারের অন্দরে নানা ধরনের প্রশ্নও উঠছিল। অবশেষে গত বছর জনগণনার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে কেন্দ্র।
গত মাসেই কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, জনগণনার সঙ্গে জাতিগত জনগণনাও করা হবে। তিনটি বিষয়ের উপর জনগণনা হবে। এক, বাড়িতে ব্যক্তিসংখ্যা, তাদের আবাস সংখ্যা ও এক আবাসে কতজন বসবাস করেন সেটা। অর্থাৎ দেশের জনসংখ্যার পাশাপাশি কটি বাড়ি রয়েছে তাও গণনার আওতায় আনা হবে। সেই সঙ্গে জাতি জনগণনাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যা কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের তরফে দাবি করা হচ্ছিল। কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রের খবর, জাতিগত জনগণনা অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ফলে এবারের জনগণনা প্রক্রিয়াটা বেশ দীর্ঘ হতে চলেছে। কারণ, আগের চেয়ে অনেক বেশি প্রশ্নসংখ্যা যোগ করা হচ্ছে জনগণনার সমীক্ষায়। যার ফলে খরচও বাড়বে।
১৮৭২ সালে শুরু হওয়া আদমশুমারি রীতি মেনে প্রতি প্রতি ১০ বছর অন্তর হয়। কিন্তু এবারের জনগণনা হচ্ছে ১৬ বছর পর। অর্থনীতিবিদদের একটা অংশ বলছে, এখনও পর্যন্ত মোদি সরকার যাবতীয় যা যা কর্মসূচি নিচ্ছে বা পরিকল্পনা করছে সবটাই সেই ২০১১ সালের তথ্যের উপর ভর করে। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সরকারি আধিকারিকদেরও। তাছাড়া সরকারের ব্যয় বরাদ্দের ক্ষেত্রেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। নতুন আদমশুমারির রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত সেই অসুবিধার সম্মুখীন হতেই হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.