Advertisement
Advertisement

Breaking News

লোকসভার আগেই বিধানসভা ভোট কাশ্মীরে, জানাল নির্বাচন কমিশন

খুব শীঘ্রই নির্বাচনের দিনক্ষণ জানানো হবে।

Assembly polls in Kashmir
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:November 23, 2018 10:56 am
  • Updated:November 23, 2018 4:13 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনৈতিক ডামাডোল এখনও কাটেনি। উলটে পরিস্থিতি আরও জটিল হওয়ার পথে। রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার পর মনে করা হয়েছিল লোকসভা নির্বাচনের আগে হয়তো নতুন করে সরকার গঠিত হবে কাশ্মীরে। কিন্তু এমন কোনও সিদ্ধান্ত নিলেন না রাজ্যপাল। জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগেই বিধানসভা নির্বাচন হবে কাশ্মীরে। নির্বাচন কমিশনের তরফে এই খবর জানানো হয়েছে।

মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও পি রাওয়াত জানিয়েছেন, মে মাসের আগে জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন হবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কোনও রাজ্যের বিধানসভা ভেঙে গেলে আগামী ছ’মাসের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়। এক্ষেত্রেও সেই পথই অবলম্বন করা হবে। তাই ’১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগেই বিধানসভা নির্বাচন হবে কাশ্মীরে। খুব শীঘ্রই নির্বাচনের দিনক্ষণ জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। প্রসঙ্গত, ১৮ ডিসেম্বর রাজ্যপাল হিসাবে সত্যপাল মালিকের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।

Advertisement

কাশ্মীরে বড় সাফল্য সেনার, জওয়ানদের গুলিতে খতম ৬ জঙ্গি ]

Advertisement

বুধবারই শোনা যায়, কাশ্মীরে পরবর্তী সরকার গঠনের জন্য একজোট হচ্ছে পরস্পর বিরোধী ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং পিডিপি। কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে সরকার গড়তে চলেছে তারা। সেইমতো রাজ্যপালের কাছে ফ্যাক্স করে সরকার গঠনের দাবি জানান পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি। অন্যদিকে, বিজেপির সমর্থনে পালটা সরকার গড়ার দাবি জানান পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সাজ্জাদ লোন, যদিও উপযুক্ত সংখ্যক বিধায়কের সমর্থন তাঁর কাছে ছিল না। এরপরই বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন রাজ্যপাল। তিনি জানান, তাঁর ফ্যাক্স মেশিন বন্ধ ছিল, বিরোধীদের কাছে সরকার গড়ার কোনও অনুরোধ তিনি পাননি। রাজ্যপালের সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক আখ্যা দেয় বিরোধীরা। তাদের দাবি, বিজেপির ইশারায় গণতন্ত্রকে হত্যা করেছেন সত্যপাল মালিক।

তবে রাজ্যপাল নিজের অবস্থানে অনড়। তাঁর দাবি, “অসাধু জোট জম্মু কাশ্মীরের জন্য বিপজ্জনক হত। এই মুহূর্তে কাশ্মীরের স্থায়ী সরকার প্রয়োজন, পরস্পর বিরোধী ভাবাদর্শের দুটি দল কখনও স্থায়ী সরকার গঠন করতে পারবে না। তাছাড়া সম্প্রতি পঞ্চায়েত ভোট বয়কট করে পিডিপি এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স বুঝিয়ে দিয়েছে তাঁরা মানুষের কথা ভাবে না। পাকিস্তানের ইশারাতেই তাঁরা পঞ্চায়েত ভোট বয়কট করেছিলেন। তাদের একজোট হওয়ার পিছনেও পাকিস্তানের যোগ থাকতে পারে।”

কংগ্রেস নাকি বিজেপি? ভোট আসতেই দর চড়ছে মধ্যপ্রদেশের সাট্টার বাজারে ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ