সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলিত সংগঠনের ডাকা ভারত বনধে পাঞ্জাবে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা স্থগিত রাখল সিবিএসই। মূলত রাজ্য সরকারের অনুরোধেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। সংবিধানে প্রণীত এসটি/এসসি-দের আইনে সংশোধনী আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই সংশোধনীর বিরোধিতা করে সোমবার ভারত বনধের ডাক দিয়েছে বিভিন্ন দলিত সংগঠন। বনধকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জারি করেছে পাঞ্জাব সরকার। সেই সঙ্গে অশান্তি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গোটা রাজ্য জুড়ে বন্ধ থাকবে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে বেরিয়ে না যায়, সেজন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গেও কথা বলেছেন পাঞ্জাবের মুখ্য সচিব করণ এ সিং। কেন্দ্রের তরফে এই মর্মে জানানো হয়েছে, বনধ চলাকালীন কোনওরকম সমস্যা মোকাবিলায় তৈরি রয়েছে সেনাবাহিনী। রাজ্য সরকার কেন্দ্রের কাছে সহায়তা চাইলেই আসরে নামবে সেনা। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে লুধিয়ানার পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, বনধ উপলক্ষে রাস্তায় নামবে প্রায় চার হাজার পুলিশকর্মী। মোতায়েন থাকবে ব়্যাফ। কোনও গোষ্ঠী যদি অশান্তি বাধানোর চেষ্টা করলে তৎক্ষণাৎ কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে বনধ ঘোষণা করে দলিত সংগঠন সংবিধান বাঁচাও সংঘর্ষ কমিটি। পরে সেই বনধের সমর্থনে এগিয়ে আসে আদি ধর্ম মিশন ও সারা বারত আদি ধর্ম সাধু সমাজ। যদিও বারত বনধ তুলে নিতে দলিত সংগঠনগুলির কাছে আবেদন রেখেছে কেন্দ্র। একই সঙ্গে পরিস্থিতি শান্ত করতে আসরে নেমেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাওয়রচাঁদ গেহলত। তিনি ইতিমধ্যেই বিক্ষুব্ধ দলিত সংগঠনগুলির উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, এসটি/এসসি-দের উন্নয়নে নরেন্দ্র মোদি সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সংশোধনীর আগে বিষয়টি আরও একবার বিবেচনা করে দেখা হোক। এই মর্মে কেন্দ্রের তরফে সুপ্রিমকোর্ডে একটি আবেদনও করা হবে।
এদিকে বনধকে ঘিরে চরম সতর্কতা জারি হয়েছে পাঞ্জাবে। সংঘর্ষ এড়াতে রাজ্যের স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে মোতায়েন রয়েছে পুলিশকর্মীরা। জরুরি পরিষেবার জন্য অ্যাম্বুল্যান্স থেকে শুরু করে চিকিৎসকরা তৈরি রয়েছেন। পুলিশ আধিকারিকরা রুটি টহল দিচ্ছেন শহরের প্রাণকেন্দ্রে। প্রশাসনিক ভবন, বড় স্টেশন, বাস টার্মিনাসেও রয়েছে পুলিশি প্রহরা। বনধ সফল করতে এক কাট্টা দলিত সংগঠনগুলি। এর মধ্যে স্কুল, কলেজে বেরিয়ে বিপাকে পড়তে পারে পড়ুয়ারা। তাই আগেভাগেই এদিন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ থাকবে। এমনই জানানো হয়েছে। অশান্তি যাতে এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেজন্য বন্ধ রয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবাও। পুলিশের পাশাপাশি সংঘর্ষ এড়াতে প্রস্তুত রয়েছে সেনাবাহিনীও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.