Advertisement
Advertisement

Breaking News

পরিযায়ী

লকডাউনে দুর্ভোগে পরিযায়ী শ্রমিকরা, পাশে দাঁড়াতে সরাসরি অর্থ সাহায্যের ভাবনা কেন্দ্রের

টাকা ছাপানোর কোনও পরিকল্পনা নেই বলে দাবি সূত্রের।

Center may transfer cash to Migrant workers amid lockdown

ছবি: প্রতীকী

Published by: Paramita Paul
  • Posted:May 30, 2020 9:05 am
  • Updated:May 30, 2020 9:05 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে দু’মাসের বেশি সময় ধরে চলা লকডাউনের জেরে দেশের অর্থনীতি জেরবার। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে ‘দিন আনি দিন খাই’ শ্রেণির মানুষ। শিল্প-কারখানা বন্ধ, নির্মাণ বন্ধ, বন্ধ সব ধরণের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। ফলে দরিদ্র শ্রেণির মানুষের হাতে নগদ অর্থ নেই বললেই চলে। আর চাহিদা কমায় পুরো অর্থনৈতিক চক্রটিই ভেঙে যাচ্ছে। বিভিন্ন অর্থনীতিবিদ গরিবদের হাতে নগদ অর্থ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। সূত্রের খবর, কেন্দ্রও নাকি গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টিতে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে। তেমন হলে ভিনরাজ্যে কাজ হারনো পরিযায়ী শ্রমিকদের হাতে নগদ অর্থ দিতে পারে সরকার।

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের সূত্র উদ্ধৃত করে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, কর্মহীন পরিযায়ী শ্রমিকদের হাতে নগদ অর্থ জোগানের বিষয়ে নাকি জোর আলোচনা চলছে সরকারের অন্দরমহলে। অবশ্য, নগদের ঘাটতি মেটাতে কয়েকজন অর্থনীতিবিদ যে টাকা ছাপানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন, কেন্দ্রের সে ব্যাপারে কোনও পরিকল্পনা নেই বলেও জানা গিয়েছে। তবে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা নিয়ে বারবার কেন্দ্রকে নিশানা করছে বিরোধীরা। সেই সাঁড়াশি আক্রমণ এড়াতেই কেন্দ্র এই পথে হাঁটছে বলে মনে করছে রাজনীতিবিদদের একাংশ।

Advertisement

[আরও পড়ুন : দিল্লি হাসপাতালের মর্গে পড়ে শতাধিক লাশ! সংক্রমণের ভয়ে কেউ নিচ্ছে না দেহ]

গত তিন মাসে দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি প্রায় নেই বললেই চলে। জিডিপি সম্পর্কিত সরকারি তথ্যে জানা যাচ্ছে যে, গত ত্রৈমাসিকে শেষ দুই বছরের মধ্যে দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি সবচেয়ে ধীর গতির থাকবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের কারণে ইতিমধ্যেই ধুঁকছে দেশের শেয়ার বাজার। বেসরকারি বিনিয়োগও প্রায় নেই বললেই চলে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স–এর তথ্য অনুযায়ী, অর্থনীতিবিদদের একটি সমীক্ষায় আগামী বছর মার্চ মাসের শেষে দেশের বার্ষিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ২.১ শতাংশে গিয়ে ঠেকতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন : অর্থনীতিতে অশনি সংকেত! ১১ বছরে সর্বনিম্ন দেশের GDP বৃদ্ধির হার]

এদিকে, অর্থমন্ত্রক সূত্রে খবর, লকডাউনের সময় দেশের মানুষের চাকরি হারানো এবং বেতন কাটা সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে নির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করতে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রককে নির্দেশ দিয়েছে অর্থমন্ত্রক। লকডাউনের কারণেই বেশ কয়েকটি সংস্থা কর্মীদের বেতন ছাঁটাইয়ের কথা ঘোষণা করেছে আগেই। ফলে অসহায় হয়ে পথে বসেছেন বহু মানুষ। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমিক নামে একটি সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুসারে গত এপ্রিল মাসে সারা দেশে প্রায় ১২.২ কোটি কর্মীকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের পরিযায়ী শ্রেণির শ্রমিকদের হাতে নগদের জোগান বাড়লে, অর্থনীতির চাকাও খানিকটা ঘুরে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছে অর্থনীতিবিদদের একাংশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ