সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্ভয়ার ঘটনার কয়েক মাস বাদেই বিকৃতকাম ধর্ষকদের লালসার শিকার হয়েছিল পাঁচ বছরের গুড়িয়া। অমানুষিকভাবে ধর্ষণ করার পর প্রমাণ লুকোতে তার যৌনাঙ্গ ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছিল দুই যুবক। শনিবার তাদের দোষী সাব্যস্ত করলেন দিল্লির কারকারডোমার বিশেষ POCSO আদালতের বিচারক নরেশ কুমার মালহোত্রা। আগামী ৩০ জানুয়ারি এই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত মনোজ শাহ ও প্রদীপ কুমারের সাজা ঘোষণা করা হবে।
আজ ওই দুই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করার সময় এই ধর্ষণের ঘটনাকে নৃশংসতার উদাহরণ বলে উল্লেখ করেন বিচারক। চূড়ান্ত পাশবিক এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ‘এই ঘটনা আমাদের সবাইকে মারাত্মক নাড়া দিয়ে গিয়েছে। আমাদের সমাজে যেখানে শিশুকন্যা ও নাবালিকাদের দেবী জ্ঞানে পুজো করা হয় সেখানে এই ঘটনা খুবই মর্মান্তিক। পাঁচ বছরের ওই শিশুর ওপর খুবই নারকীয় অত্যাচার চালানো হয়েছিল। বর্বরোচিত এই ঘটনাকে কোনওভাবে ক্ষমা করা যায় না।’
[আরও পড়ুন: ছিলেন পাক নাগরিক, ভোটে জিতে গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান রাজস্থানের ‘বধূ’ ]
বিচারকের নির্দেশের পর এজলাস থেকে দোষী সাব্যস্ত দুই যুবককে জেল হেফাজতে নিয়ে যাচ্ছিলেন পুলিশ কর্মীরা। আর সামনে থেকে তাদের ছবি তুলছিলেন আদালতে উপস্থিত সাংবাদিকরা। আচমকা এক ধর্ষক সামনে এগিয়ে এসে সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়। তাঁদের হাত থেকে মোবাইল ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। প্রথমে পুলিশ কর্মীরা হকচকিয়ে গেলেও পরে পরিস্থিতি সামাল দেন।
[আরও পড়ুন: ৯৭ বছর বয়সে পঞ্চায়েত প্রধানের পদে, অভিনব নজির রাজস্থানের মহিলার ]
Karkardooma Court in Delhi: One of the two convicts in 2013 kidnapping and rape case of a 5-year-old girl in Gandhi Nagar, attacked journalists and tried to snatch their mobile phones also, while coming out from the court after hearing. https://t.co/gnGKiQcbN4 pic.twitter.com/fqb3qCvgqQ
— ANI (@ANI) January 18, 2020
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নির্ভয়া ধর্ষণকাণ্ডের কয়েকমাস বাদে ২০১৩ সালের ১৫ এপ্রিল গুড়িয়াকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে মনোজ শাহ ও প্রদীপ কুমার। ঘটনাটি ঘটেছিল দিল্লির গান্ধী নগর এলাকায়। ধর্ষণের পরে ওই শিশুর যৌনাঙ্গে তেলের শিশি ও মোমবাতি ঢুকিয়ে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছিল ধর্ষকরা। তারপর সে মরে গিয়েছে ভেবে মনোজ শাহের ঘরে রেখে তালাবন্ধ করে পালিয়ে যায়। প্রায় দুদিন বাদে এপ্রিলের ১৭ তারিখ বন্ধ ঘর থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভরতি থাকার পর সুস্থ হয় ওই শিশুকন্যা।