সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজেদের অজেয় ভেবে ২০০৪ সালের কথা ভুলবেন না। বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলিতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর এই মন্তব্য করলেন ইউপিএ-র চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর সাংবাদিক ও ভোটারদের তিনি ২০০৪ সালের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা মনে করিয়ে দেন। বলেন, “২০০৪ সালের কথা ভুলবেন না। ওইসময় অটলবিহারী বাজপেয়ীজিও অপরাজেয় ছিলেন। কিন্তু, ভোটে জিতেছিলাম আমরাই।”
[আরও পড়ুন-ভোটার তালিকা থেকে নাম উধাও দাদরির মহম্মদ আখলাকের পরিবারের]
মায়ের সুরে সুর মিলিয়ে একই কথা বলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও। তাঁর দাবি, যারা নিজেদের অপরাজেয় ভাবে ভারত সবসময় তাদের বাইরের দরজা দেখিয়ে দেয়। ভারতের ইতিহাসে এর আগেও প্রচুর মানুষ নিজেদের অপরাজেয় ভেবেছিল। দেশের সাধারণ নাগরিকদের থেকে নিজেকে অনেক উপরে ভেবেছিল। তেমনি গত পাঁচবছরে নরেন্দ্র মোদি দেশের মানুষের জন্য কিছু না করেই নিজেকে অপরাজেয় ভাবতে শুরু করেছেন। তাঁর এই ধারণ ঠিক কিনা তা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ পেলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে।
[আরও পড়ুন-ভোটকর্মীদের খাবারের প্যাকেটে লেখা ‘নমো’, প্রচারের নতুন পন্থা বিজেপির!]
তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, নরেন্দ্র মোদি আপনাকে হিসেবে বাইরে রাখছেন। এর উত্তরে রাহুল বলেন, “আপনি যা মনে করবেন তাই করুন। আমি অন্যায় কিছু করিনি। তবে তার আগে আমায় বলুন, অনিল আম্বানির সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কী। উনি কি আপনার ভাই বা বন্ধু, না অন্য কিছু? না হলে, যিনি জীবনে একটাও বিমান তৈরি করেননি। তাঁকে রাফালে তৈরির বরাত কীভাবে দিলেন?”
[আরও পড়ুন-ইভিএমে কংগ্রেসের বোতাম কাজ করছে না, অভিযোগ মানল নির্বাচন কমিশনও]
২০০৪ সাল থেকে রায়বরেলি কেন্দ্র থেকে পরপর তিনবার জয়ী হয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। ২০১৪ সালে দেশজুড়ে প্রচণ্ড মোদি ঝড়ের মুখেও রায়বরেলির এই দুর্গে আঘাত আনতে পারেনি বিজেপি। এবার সেই কথা মাথায় রেখে, দেশের সপ্তদশ জাতীয় নির্বাচন শুরুর দিনে ছেলে রাহুল, মেয়ে প্রিয়াঙ্কা ও জামাই রবার্ট বঢরার সঙ্গে নিয়ে রোড শো করে মনোনয়ন জমা দেন সোনিয়া। তার আগে বিশেষ পুজোও করেন। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারই উত্তরপ্রদেশের অমেঠি-তে রাহুলের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেন বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানি। তার আগে স্বামী জুবিন ইরানিকে পাশে বসিয়ে বিশাল ষজ্ঞও করেন তিনি।