Advertisement
Advertisement

Breaking News

Hijab

‘উসকানিমূলক মন্তব্য বরদাস্ত নয়’, হিজাব বিতর্কে আমেরিকাকে কড়া জবাব ভারতের

হিজাবে নিষেধাজ্ঞা ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘন, গতকাল মন্তব্য করে আমেরিকার একটি সরকারি সংস্থা।

'Internal Matter' says India After US Remarks On Hijab Row | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:February 12, 2022 4:48 pm
  • Updated:February 12, 2022 4:48 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্ণাটকের (Karnataka) হিজাব বিতর্ক দেশের গণ্ডি ছাড়িয়েছে। পাক বিদেশ মন্ত্রী থেকে নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই (Malala Yousafzai), বিখ্যাত ফুটবলার পল পোগবা (Paul Pogba) পর্যন্ত এই ইস্যুতে মুখ খুলেছেন। সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক চেহারা পেয়েছে কর্ণাটকের হিজাব বিতর্ক। শুক্রবার এই বিষয়ে সমালোচনা করে আমেরিকাও। এর পরেই এই বিষয়ে জবাব দিল ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের (External Affairs Ministry) তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, এটি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এই বিষয়ে উসকানিমূলক মন্তব্যকে মেনে নেওয়া হবে না।

এদিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী (Arindam Bagchi) বলেন, যারা ভারতকে ভালভাবে জানেন তারা বাস্তব পরিস্থিতি উপলব্ধি করতে পারবেন। টুইটারে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে অরিন্দম বাগচী জানান, “পোশাক বিধি নিয়ে কর্ণাটকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে যে বিষয়টি তৈরি হয়েছে, তা কর্ণাটক হাই কোর্টে বিচারবিভাগীয় তদন্তের অন্তর্গত। আমাদের সাংবিধানিক পরিকাঠামো ও কার্যপদ্ধতি, এমনকী আমাদের গণতন্ত্রের নীতি ও বিশ্বাস হল যে কোনও বিষয়কে বিচার বিবেচনা করে সমাধান করা।” এইসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে উসকানি মূলক মন্তব্যকে স্বাগত জানানো হবে না।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিজেপি ক্ষমতায় ফিরলেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, ভোটের আগে বড় ঘোষণা উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর]

শুক্রবার আমেরিকার সরকারি সংস্থা লার্জ ফর ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (Large for International Religious Freedom) কর্ণাটকের হিজাব বিতর্কের সমালোচনা করে। উল্লেখ্য, সংস্থাটি বিদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়ে নজরদারি চালায়। তাদের তরফে সংস্থার প্রতিনিধি রাসাদ হুসেন টুইট করেন, “স্কুলে হিজাবের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকারকেই লঙ্ঘন করে।”

Advertisement

এর আগে হিজাব বিতর্কে মুখ খোলেন নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই। হিজাব পরায় মুসলিম পড়ুয়ারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঢুকতে পারবেন না, এই ফতোয়াকে ‘ভয়ানক’ বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। টুইটারে লেখেন, “পড়াশোনা এবং হিজাবের মধ্যে কোনও একটা বেছে নিতে বাধ্য করছে কলেজ। হিজাব পরে মেয়েদের স্কুলে যেতে নিষেধ করার বিষয়টি ভয়ানক। খোলামেলা হোক বা ঢাকা পোশাক – মহিলাদের অবজেক্টিফিকেশনের ধারা চলছেই।” একইসঙ্গে ভারতীয় নেতাদের প্রতি তাঁর আবেদন, “অবশ্যই মুসলিম মহিলাদের মূল সমাজ থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি রুখতে হবে।”

[আরও পড়ুন: বাংলাতেও হিজাব নিয়ে ধর্মীয় অশান্তি ছড়ানোর ছক ISI-এর, গোয়েন্দা রিপোর্টে চাঞ্চল্য]

হিজাব ইস্যুতে সুযোগ বুঝে ভারতের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশিও। তিনি বলেন, হিজাবের জন্য মুসলিম মেয়েদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করা আসলে মৌলিক মানবাধিকারের লঙ্ঘন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ