Advertisement
Advertisement

Breaking News

কেরল

অসন্তোষ রুখতে নয়া পন্থা কেরলে, পরিযায়ী শ্রমিকরা পাচ্ছেন একাধিক সুবিধা

শ্রমিকদের ব্যক্তিগত পছন্দেরও খেয়াল রাখছে কেরল সরকার।

Kerala Govt recharge migrant labours phn, send them roti, achar
Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:April 18, 2020 5:21 pm
  • Updated:May 17, 2020 6:49 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা মোকাবিলায় দেশে বাকি রাজ্যগুলির তুলনায় এগিয়ে কেরল সরকার। ২৯ মার্চ কেরল সরকার জানায় প্রায় শতাধিক পরিযায়ী শ্রমিকেরা আটকে রয়েছেন তার রাজ্যে। তাঁদের দ্রুত নিজেদের রাজ্যে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। তবে লকডাউনে দীর্ঘদিন ভিন রাজ্যে আটকে থাকায় শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। তাই পিনারাই বিজয়নের সরকার শ্রমিকদের ক্ষোভ প্রশমনে ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করেন। শ্রমিকদের খাবারের পাশাপাশি তাদের বিনোদনেরও ব্যবস্থা করেন তিনি।

গত সপ্তাহে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির ঘোষণা হতেই মুম্বইয়ের বান্দ্রায় বিক্ষোভের পথ বেছে নিয়েছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা (migrant labour)। সেই বিক্ষোভকে সামাল দিতে গিয়ে বেগ পেতে হয়েছিল পুলিশকে। এমনকি বিক্ষোভের সময় সামাজিক দূরত্ব-সহ লকডাউনের নানা বিধি নিষেধকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছিলেন শ্রমিকেরা। সেই পরিস্থিতি যাতে কেরলে না দেখা দেয় তাই তার আগাম প্রস্তুতি নিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। শ্রমিকদের ক্ষোভ প্রশমন করতে তাদের জন্য খাবারের পদ্ধতি পরিবর্তন করেন। কমিউনিটি কিচেনে তাদের জন্য উত্তর ভারতের প্রসিদ্ধ ডাল, চাপাটি, ভাত, আচারের আয়োজন করেন যাতে শ্রমিকদের মনে না হয় তারা ভিন রাজ্যে আটকে রয়েছেন। কোনও জেলায় আবার রান্না না করে তাদের কাছে কাঁচামাল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে যাতে তারা পছন্দ মত রান্না করে খেতে পারেন। কেরলের মুখ্যসচিব সত্যজিৎ রাজন জানান, “পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য রাজ্য অফুরন্ত চালের আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু সবসময় তাদের রান্না করা খাবার পাঠিয়েও খুশি রাখা যাচ্ছে না তাই আমরা ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে তাদের খুশি রাখার শান্ত রাখার চেষ্টা করছি। কোনও আবার শ্রমিকদের বাড়ির খোঁজ নিয়ে তাদের পছন্দ অনুযায়ী ছাতু খিচুড়ি দেওয়া হচ্ছে।” এভাবেই শ্রমিকদের ব্যক্তিগত পছন্দের কথা মাথায় রেখে তাঁদের খেয়াল রাখছে পিনারাই বিজয়নের সরকার।

Advertisement

[আরও পড়ুন:‘করোনা জয়ীরা ফের আক্রান্ত হতে পারেন’, ভয় ধরাচ্ছে WHO’র বিশেষজ্ঞদের দাবি]

পরিযায়ী শ্রমিকদের কেবলমাত্র খাবারা পাঠিয়েই নয়, তাদের মাস্ক, স্যানিটাইজার, ওষুধও পাঠানো হচ্ছে। কেরলের মুখ্যসচিবের কথায়, “লকডাউনে মানুষের কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল ফোন। তাই শ্রমিকদের ফোনের রিচার্জেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে যাতে তারা পরিজনেদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। কোথাও আবার আটকে থাকা শ্রমিকদের জন্য ক্যারামের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন কেরল সরকার।” এভাবেই ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে শাসনের সঙ্গে শ্রমিকদের ব্যক্তিগত খেয়াল রাখার চেষ্টা করছে পিনারাই বিজয়নের সরকার।

Advertisement

[আরও পড়ুন:লকডাউনে নির্মলাকে অঙ্কের ‘পাঠ’ মহুয়ার! বাতলে দিলেন গরিবদের সাহায্যের উপায়]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ