Advertisement
Advertisement
গুরুদ্বার

পাঞ্জাবের মাদ্রাসায় আটকে পড়ুয়ারা, ‘ফরিস্তা’ হয়ে সাহায্যে গুরুদ্বার

মাদ্রাসা পড়ুয়াদের দুবেলা খাওয়ানোর দায়িত্বে গুরুদ্বার।

Madrasa students deatined in Punjab,gurudwara helped them
Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:April 5, 2020 8:59 pm
  • Updated:May 17, 2020 7:57 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনের জেরে ভিন রাজ্যে আটকে বহু মানুষ। এই লকডাউনে সমস্যায় পড়েছেন পাঞ্জাবের মাদ্রাসার পড়ুয়ারাও। তবে তাদের উদ্ধারে ‘ফরিস্তা’ হয়ে এগিয়ে এসেছে বহু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও গুরুদ্বারগুলি।

লকডাউনের ফলে মাদ্রাসায় আটকে বহু পড়ুয়া। প্রথমের দিকে মাদ্রাসার তরফ থেকে খাবারের জোগান দিলেও পরে অনাহারেই থাকতে হচ্ছিল মাদ্রাসার পড়ুয়াদের। সেই কথা শুনে এগিয়ে এসে সাহায্যের হাত বাড়ায় গুরুদ্বার-সহ পাঞ্জাবের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তবে শুধু লকডাউনই নয় পাঞ্জাবের এই গুরুদ্বারগুলি বিপদের সময়ে কারোর মধ্যেই ভেদাভেদ রাখে না। তারা হাতে হাত রেখে এগিয়ে চলে। এবারেও তাই মাদ্রাসার পড়ুয়াদের জন্য তারা খুলে দেয় লঙ্গর। সেখানেই চলছে সেবার কাজ। দলে দলে নানা ধর্মের মানুষ এসে পান দুবেলা দুমুঠো অন্ন। পাঞ্জাবের মালেরকোঠার হাদানারা সাহিব গুরুদ্বার এভাবেই মাদ্রাসা পড়ুয়াদের সাহায্য করছে। তাই তাদের কাজকে সেলাম জানান এলাকার মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরাও। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকার যে পড়ুয়ারা মাদ্রাসায় পড়ে লকডাউন শুনে তারা বাড়ি ফিরতে পারলেও মাদ্রাসায় এখনও আটকে বিহার ও উত্তরপ্রদেশের বেশ কিছু পড়ুয়ারা। তাই তাদের সকলের দায়িত্ব হাসি মুখে কাঁধে তুলে নিয়েছেন গুরুদ্বারের প্রধান গ্রন্থী ও তাঁর নরিন্দর পাল সিং। তারা মাদ্রাসার পড়ুয়াদের দুবেলা খেতে দেওয়ার আশ্বাস দেয়। মাদ্রাসার মৌলভী সাহেব জানিয়েছেন, তাঁর বাচ্চাদের কথা ভেবেছে বলে গুরুদ্বারের কাছে তিনি কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন,”হঠাৎ সব লকডাউন হয়ে গেল। ট্রেন বাতিল হয়ে গেল একের পর এক। আমরা কোনও ব্যবস্থা করারই সময় পাইনি। বাইরের বাচ্চাদের ঘরেও পাঠানো হয়নি। কিন্তু গুরুদ্বার সেই সময় পাশে থেকেছে, দায়িত্ব নিয়েছে। ওঁরা সবসময়ই সেবায় বিশ্বাস করেন।”

Advertisement

[আরও পড়ুন:মানবিক উদ্যোগে শামিল ‘সংবাদ প্রতিদিন’ ও খেজুরি সৎসঙ্গ, দুস্থদের খাদ্যসামগ্রী বিলি]

গুরুদ্বারের দায়িত্বে থাকা কুলদীপ সিং জানিয়েছেন, প্রতিদিনই দু’বেলা মিলিয়ে হাজার দেড়েক মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করছেন তাঁরা। স্থানীয় মহিলারাও এসে রান্নায় হাত লাগাচ্ছেন। সেখানে কয়েকটি বাচ্চার দায়িত্ব এমন কিছু বড় ব্যাপার নয়। তবে মাদ্রাসার বাচ্চারা গুরুদ্বারের নিয়ম মেনে খেতে অভ্যস্ত ছিল না এতদিন। এখন তারাও সেই নিয়মে অভ্যস্ত হয়ে গেছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন:লকডাউনে পৌনে বারোটায় মিষ্টির দোকান খুলেও গ্রেপ্তার ম্যানেজার ও কর্মী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ