Advertisement
Advertisement

Breaking News

মমতা নৈশভোজে এলেন না কেন, সুদীপকে প্রশ্ন সনিয়ার

বিরোধী ঐক্যের সলতে পাকানো শুরু ।

Mamata Banerjee skips ‘Dinner diplomacy’, Sonia asks why
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 14, 2018 10:16 am
  • Updated:September 3, 2019 2:55 pm

স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লি : লক্ষ্য বিজেপি হটাও। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিরোধীদের একমঞ্চে আনতে তৎপর সনিয়া গান্ধী। মঙ্গলবার নৈশভোজে ২০ বিরোধী দলের প্রতিনিধিদের এক মঞ্চে নিয়ে এসে আবারও নরেন্দ্র মোদি বিরোধিতার সুর বাঁধলেন ইউপিএ চেয়ারপার্সন। বিরোধী দলের সংখ্যা বাড়লেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতির ঘটনা এড়িয়ে যায়নি সনিয়ার চোখ। সেখানেই মমতার খোঁজ নেন তিনি। কেন তিনি আসেননি, তৃণমূল প্রতিনিধি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাও করেন। সূত্রের খবর, সেখানেই দার্জিলিংয়ে শিল্প সম্মেলনের কথা জানান সুদীপ। সেখানেই তিনি বলেন, দার্জিলিংয়ে না গেলে মমতা এখানে আসতেন।

[  বিরোধীদের এককাট্টা করতে নৈশভোজ সনিয়ার, ডাক তৃণমূলকেও]

Advertisement

মঙ্গলবার সন্ধে থেকেই দশ জনপথে ছিল সাজো সাজো রব। বিরোধীদের জোটে সলতে পাকাতে নৈশভোজের ডাক দেন সনিয়া। প্রত্যাশিতভাবে শরদ পাওয়ার, ডিএমকে-র প্রতিনিধি কানিমোঝি থেকে ফারুক আবদুল্লা, তেজস্বী যাদব, শরদ যাদব, মহম্মদ সেলিম, বাবুলাল মারান্ডি, অজিত সিং, জীতেনরাম মাঝি, ডি রাজারা ছিলেন। তৃণমূলের প্রতিনিধি হিসাবে নৈশভোজে যোগ দেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সনিয়ার ডাকে নৈশভোজে যোগ দেন মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টির প্রতিনিধি সতীশ মিশ্র। কর্নাটক ভোটের প্রেক্ষিতে জেডি(ইউ)-এর উপস্থিতিও এদিনের বৈঠকে উল্লেখযোগ্য বিষয় বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কংগ্রেসের তরফে ছিলেন রাহুল গান্ধী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, আহমেদ প্যাটেল, মল্লিকার্জুন খাড়গে থেকে গুলাম নবি আজাদ। গত মাসেই ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধী ‘মতবিরোধ সরিয়ে রেখে বিজেপি-কে ক্ষমতাচ্যুত করতে’ বিরোধী দলগুলির কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। যাতে এনডিএ জোট সরকারকে জোর ধাক্কা দেওয়া যায়, সেজন্য আগেভাগে বিরোধীদের একজোট করতেই এই নৈশভোজের আয়োজন। কিন্তু, সনিয়ার তরফ থেকে এই প্রয়াস নতুন নয়। বরং তা শুরু হয়েছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় থেকেই। কিন্তু গত এক বছরে নিজেদের প্রয়োজন মতো ‘কভি পাস তো কভি দূরের” রাজনীতি করে গিয়েছে বিরোধী দলগুলি। আবার কংগ্রেস বা সোনিয়ার আমন্ত্রণেও বিভিন্ন বৈঠকেও উপস্থিত থেকেছে তারা। বিরোধী দলের সংখ্যা বাড়লেও তৃণমূলের দিকেই তাকিয়ে আছে বাকিরা। কারণ তৃণমূল প্রতিনিধি পাঠালেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতি কংগ্রেস নেতাদের ভাবাচ্ছে বলে খবর। সে জন্যই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ব্যক্তিগতভাবে মমতার খোঁজখবর নেন সনিয়া।

Advertisement

[  কর্তব্যে গাফিলতি, তিন প্রশাসনিক আধিকারিককে বরখাস্ত ত্রিপুরার নয়া মুখ্যমন্ত্রীর ]

রাজনৈতিক মহলের মত, সনিয়া বিপক্ষদের জল মাপার জন্যই এই নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন। সেক্ষেত্রে ২০১৯ এর লোকসভা নির্বোচনের আগে মহাজোট বা বোঝাপাড়ার প্রস্তুতির ইঙ্গিত হিসাবেই দেখছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে জোটসঙ্গীরা কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধীকে কতটা মেনে নেবেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কারণ রাহুলকে নিয়ে অনেকের মধ্যে রয়েছে নেতিবাচক ভাবনা। সেক্ষেত্রে সোনিয়া তাঁদের কাছে অনেকবেশি গ্রহণযোগ্য। এআইসিসির এক বর্ষীয়ান নেতার মতে, “২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে বিপক্ষ সরকার গড়ার মতো সুযোগ পেলে কংগ্রেস কি ভূমিকা নেবে তা এখনই স্পষ্ট নয়। তা নির্ভর করবে কংগ্রেসের নিজেদের ফলাফলের উপর। তবে প্রথম লক্ষ্য হবে ইউপিএর সরকার গঠনেরই। প্রয়োজনে অন্য দলকেও সমর্থন দেওয়া যেতে পারে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ