সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভায় শোচনীয় হারের পর নতুন করে দল সাজাতে চেয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। সভাপতির সেই ইচ্ছাকে সন্মান জানিয়ে পদত্যাগ করলেন প্রায় ৮০ জন কংগ্রেস নেতা-নেত্রী। বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম দলের আইন ও আরটিআই সেলের চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন বিবেক তানখা। এরপরই একে একে পদত্যাগ করতে থাকেন এআইসিসি সচিব থেকে যুব ও মহিলা কংগ্রেসের নেতা-নেত্রীরা। পদত্যাগ করেন দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ এবং হরিয়ানার অনেক কংগ্রেস নেতাও। নিজের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর তানখা বলেন, “কংগ্রেসে একটি পদে দীর্ঘদিন ধরে থাকা উচিত নয়। আমি চাই সবাইকে উজ্জীবিত করে যুদ্ধোপযোগী একটি দল তৈরি করুন রাহুল গান্ধী।”
[আরও পড়ুন- নিখুঁত লক্ষ্যে আছড়ে পড়ল আণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম ‘পৃথ্বী’ মিসাইল]
এরপর শুক্রবারও পরপর অনেকগুলি টুইট করেন তিনি। তাতে উল্লেখ করেন, “বিভিন্ন দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দিয়ে আমরা রাহুল গান্ধীকে নিজের মতো একটি দল গড়ার সুযোগ করে দিতে চাই। দল কখনই দীর্ঘদিন ধরে একজনকে একটি পদে রাখতে পারে না। আমরা চাই আপনি দলের মধ্যে আমূল পরিবর্তন করে একটি লড়াকু বাহিনী তৈরি করুন। আপনার মধ্যে সেই দায়বদ্ধতা ও দক্ষতা রয়েছে। এখন শুধু দেশজুড়ে একটি সর্বজনগ্রাহ্য এবং প্রভাবশালী দল তৈরি করুন।”
শুক্রবার বিকেলে পদত্যাগ করেন দিল্লির কার্যকরী সভাপতি রাজেশ লিলোঠিয়াও। এবার উত্তর-পশ্চিম দিল্লি আসন থেকে লোকসভা নির্বাচনেও দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। তিনি ছাড়াও এই তালিকায় আছেন হরিয়ানা মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী সুমিত্রা চৌহান, মেঘালয় কংগ্রেসের সাধারণ সভাপতি নেট্টা পি সাংমা, সম্পাদক বীরেন্দর রাঠোর, ছত্তিশগড়ের সম্পাদক অনিল চৌধুরি, মধ্যপ্রদেশের সম্পাদক সুধীর চৌধুরি এবং হরিয়ানার সম্পাদক সত্যবীর যাদবও। সবার পদত্যাগপত্রেই উল্লেখ করা হয়েছে যে রাহুল গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা ও সন্মান দেখাতে তাঁরা ইস্তফা দিচ্ছেন।
[আরও পড়ুন- ‘বছর শেষেই জম্মু-কাশ্মীরে নির্বাচন’, সংসদে ঘোষণা অমিত শাহের]
এসপ্তাহে উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের সব জেলা কমিটিগুলিকে ভেঙে দিয়ে তিন সদস্যের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি তৈরি করেছে কংগ্রেস। জানা গিয়েছে, ওই কমিটি উত্তরপ্রদেশ দলবিরোধী কার্যকলাপ বন্ধ করে দলের মধ্যে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সাহায্য করবে। এর আগে বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল রাওকে সভাপতি থাকবেন না বলে ফের জানিয়ে দেন রাহুল গান্ধী। তবে নতুন সভাপতি নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত দলের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে তিনি সভাপতির দায়িত্ব সামলাবেন বলেও আশ্বস্ত করেন। কংগ্রেস সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই দলের নতুন সভাপতি নির্বাচনের জন্য একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেই বৈঠকের আগে দেশের সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন পদ থেকে আরও অনেকে ইস্তফা দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে।