Advertisement
Advertisement

Breaking News

গুজরাট

ফের বাড়ি ফেরার দাবিতে বিক্ষোভ শ্রমিকদের, উত্তপ্ত গুজরাট-দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমান্ত

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী।

Migrant workers create ruckus in Gujrat`s Rajkot, Delhi, Saharanpur
Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:May 17, 2020 1:18 pm
  • Updated:May 17, 2020 1:22 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাড়ি ফেরার দাবিতে বিক্ষোভ পরিযায়ী শ্রমিকদে (Migrant workers)। গুজরাটের রাজকোট, সাহারানপুর, কানপুর, দিল্লি-সহ উত্তরপ্রদেশের সীমান্তে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।

সামান্য বেশি মজুরির আশায় গুজরাটে কাজ করতে এসে আটকে পড়েন ৫০০-র বেশি পরিযায়ী শ্রমিকরা। কেন্দ্রের তরফ থেকে তাঁদের বাড়ি ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হলেও এখনও আটকে বহু শ্রমিক। কবে ফিরতে পারবেন তাঁরা? সরকার তাঁদের জন্য কী ব্যবস্থা করেছেন? এই সকল প্রশ্নই অসন্তোষের আগুন জ্বালিয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের মনে। ফলে রবিবার সকাল থেকেই গুজরাটের রাজকোটের শপর-ভেরাভাল জাতীয় সড়ক আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেরি হওয়ায় শ্রমিকদের অসন্তোষের পারদ ক্রমশ চড়তে শুরু করে। রাজকোট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাঁদের লক্ষ্য করে ইট, পাথর ছুঁড়তে শুরু করেন ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। শ্রমিকদের পাথরের ঘায়ে জখম হন বেশ কয়েকজন সাংবাদিক। পরে শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ করতে রাজকোট থানার এসপি বলরাম মীনা মাইকিং করতে শুরু করেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন:বন্ধুর কোলেই ত্যাগ শেষ নিঃশ্বাস! বাড়ি ফেরার পথে মৃত উত্তরপ্রদেশের যুবক]

তবে এই চিত্র শুধুমাত্র গুজরাটের নয়, একই ছবি ধরা পড়েছে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশের সীমান্তে। বিহারের পরিযায়ী শ্রমিকরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে দেখা যায় বিহারের শ্রমিকদের। লাঠি রড হাতে অম্বালা থেকে জাতীয় সড়কের দিকে তাঁরা লং মার্চ শুরু করেন। চলার পথে থাকা ট্রাক ও পণ্যবাহী গাড়িতেও ভাঙচুর চালায় বলে জানা যায়। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। বিক্ষোভের এই চিত্র দেখা যায় কানপুর-লখনউ জাতীয় সড়কেও। এক পুলিশ আধিকারিক জানান যে, লকডাউনের জেরে দীর্ঘদিন ধরে ভিন রাজ্যে আটকে থাকার ফলে শ্রমিকরা অধৈর্য হয়ে পড়েছেন। তাই তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করতে বেগ পেতে হচ্ছে। তবে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়্ন্ত্রণে আনা হবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন:‘এবার প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও আত্মনির্ভর হবে ভারত’, নির্মলার ঘোষণাকে স্বাগত DRDO প্রধানের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ