সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে সরকারি চাকরির পরীক্ষার জন্য কোনও টাকা লাগবে না। বুধবার উত্তরপ্রদেশের সীতাপুরে জনসভা করতে গিয়ে এই প্রতিশ্রুতিই দিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বর্তমানে ভারতের যুব সম্প্রদায়কে যেকোনও সরকারি চাকরির পরীক্ষার আগে আবেদনপত্রের সঙ্গে টাকাও জমা দিতে হয়। কিন্তু, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্ষমতায় এলে আর কাউকেই সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বসার জন্য কোনও টাকা দিতে হবে না। পরীক্ষার আবেদনপত্রের সঙ্গে টাকা নেওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি তুলে দেওয়া হবে।”
[আরও পড়ুন- মোদির ‘বন্দে মাতরম’ স্লোগানে নীরব নীতীশ, সমালোচনা বিরোধীদের]
দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের দামবৃদ্ধির জন্য বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, “ইউপিএ-র শাসনকালে পেট্রোলের দাম অনেক কম ছিল। তখন আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যারেলপিছু পেট্রলের দাম ১৪০ ডলার থাকলেও খোলা বাজারে দাম খুব বেশি বাড়তে দেওয়া হয়নি। কিন্তু, এখন বিশ্বের বাজারে পেট্রলের দাম ব্যারেলপিছু ৭০ ডলার হলেও খোলা বাজারে ক্রমাগত পেট্রলের দাম বাড়ছে। এদিকে চৌকিদার বলছে মুদ্রাস্ফীতির হার নাকি তিনি কমিয়ে এনেছেন। আসলে ভারতে এখন যা কিছুই হচ্ছে তার সুফল পাচ্ছে মাত্র ১৫ জন মানুষ। আর তাদের ভাল করতে গিয়ে দেশের জনগণের পকেট থেকে টাকা নিয়ে নেওয়া হচ্ছে।”
[আরও পড়ুন- বাতিল মনোনয়ন, মোদির বিরুদ্ধে লড়তে পারছেন না তেজ বাহাদুর]
কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তেহারে উল্লেখিত ‘ন্যায়‘ প্রকল্পের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, “যত তাড়াতাড়ি পাঁচ কোটি মানুষের অ্যাকাউন্টে ‘ন্যায়’ প্রকল্পের টাকা ঢুকবে তত সুবিধা হবে তাঁদের। এর ফলে ২৫ কোটি মানুষ তাঁদের প্রয়োজনের জিনিস, যেমন জামাকাপড়, জুতো ও মোবাইল-সহ বিভিন্ন জিনিস কিনতে পারবেন। দোকানগুলো তাদের জিনিস বিক্রি করতে পারবে। কারখানাগুলির উৎপাদিত পণ্যের চাহিদাও অনেক বৃদ্ধি পাবে। প্রচুর বন্ধ কারখানা খুলে যাবে এর ফলে। সীতাপুরের যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের সুরাহাও হবে। গত পাঁচ বছর ভারতীয় অর্থনীতির সঙ্গে অন্যায় করেছেন মোদি। কিন্তু, ‘ন্যায়’ দেশের অর্থনীতির ইঞ্জিনে ডিজেল ও পেট্রলের কাজ করবে। সেকারণেই এই প্রকল্পের নাম ‘ন্যায়’ রেখেছি আমরা। মোদি পাঁচ বছর ধরে অন্যায় করলেও আগামী দশ বছরে ‘ন্যায়’ করব আমরা।”
এরপরই রাফালে চুক্তির উল্লেখ করে নরেন্দ্র মোদির কড়া সমালোচনা করেন কংগ্রেস সভাপতি। তাঁর কথায়, “পাঁচ বছর আগে ক্ষমতায় এসে চৌকিদার বলেছিলেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করবেন। দু’কোটি বেকারকে চাকরি দেবেন। কৃষকদের ফসলের ন্যায্য দাম পাইয়ে দেবেন। প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেবেন। কিন্তু, বাস্তব সত্য হল তিনি ১৫ জন মানুষের অ্যাকাউন্টে ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার কোটি টাকা দিয়েছেন।”