Advertisement
Advertisement
বিজেপি

বিজেপির ক্ষমতা ধরে রাখার লড়াই শুরু চতুর্থ দফাতেই, কী বলছে সংখ্যাতত্ত্ব?

পরিসংখ্যান বলছে আসল লড়াই এবার শুরু।

Numbers say BJP's real fight starts from fourth phase
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:April 28, 2019 5:15 pm
  • Updated:April 28, 2019 5:15 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভার লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে ১১ এপ্রিল থেকে। ইতিমধ্যেই ৩ দফায় গোটা দেশের ৩০০টিরও বেশি আসনে ভোটগ্রহণও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিজেপি ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে কিনা তা ঠিক হবে পরবর্তী চার দফাতেই। কারণ, এতদিন যে আসনগুলিতে ভোট হয়েছে সেই আসনগুলিতে বিজেপির মতোই শক্তিশালী ছিল বিরোধীরা। তামিলনাড়ু, কেরল, তেলেঙ্গানার মতো রাজ্যগুলিতে এখনও সেভাবে পা ফেলতে পারেনি গেরুয়া শিবির। তাছাড়া উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মহারাষ্ট্রের মতো হিন্দি বলয়ের রাজ্যগুলিতেও এখনও পর্যন্ত যে আসনগুলিতে ভোট হয়েছে সেগুলি এতদিন বিরোধীদের শক্তিশালী জায়গা হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু, এবার যে আসনগুলিতে ভোট শুরু হচ্ছে সেগুলিতে ২০১৪ নির্বাচনে বিজেপি একচ্ছত্রভাবে জয় পেয়েছিল।

[আরও পড়ুন: মোদির বিরুদ্ধে মনোনয়নে ‘বাধা’ তেলেঙ্গানার কৃষকদের, কাঠগড়ায় যোগী প্রশাসন]

চতুর্থ দফা থেকে শেষ দফা পর্যন্ত নির্বাচনে বড় ৯টি রাজ্যের ১৯৫ আসনে ভোট বাকি। ২০১৪ নির্বাচনে এই আসনগুলির ৯০ শতাংশতে জয় পেয়েছিল বিজেপি। গেরুয়া শিবির তথা এনডিএ-র দখলে গিয়েছিল ১৭৬টি। পাঞ্জাবে ১৩টি আসনের মধ্যে এনডিএ পেয়েছিল ৬টি, হরিয়ানার ১০ আসনের মধ্যে বিজেপির দখলে গিয়েছিল ৭টি আসন। দিল্লির ৭টি আসনেই জিতেছিল বিজেপি। রাজস্থানের ২৫ আসনের সবকটি ছিল গেরুয়া শিবিরের দখলে। মধ্যপ্রদেশের ২৯ আসনের মধ্যে ২৭ আসনে জিতেছিল গেরুয়া শিবির। উত্তরপ্রদেশে ৫৪ আসনে এখনও ভোট বাকি। এর মধ্যে ৫০টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। মহারাষ্ট্রে বাকি ১৭ আসনের ১৭টিতেই জিতেছিল এনডিএ। বিহারের বাকি ২৬ আসনের ২৫টিতেই জিতেছিল এনডিএ ঝাড়খণ্ডের ১৪ আসনের ১২টিতেই জিতেছিল এনডিএ। মোট ১৯৫ আসনের ১৭৬টিতে জিতেছিল বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট।

Advertisement

[আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন অক্ষয়?]

ক্ষমতা ধরে রাখতে গেলে এই চার দফায় ভাল ফল করতেই হবে গেরুয়া শিবিরকে। কিন্তু মুশকিল হল এর মধ্যে অধিকাংশ রাজ্যেই নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে বিজেপি। পাঞ্জাবে এবছর কংগ্রেসের হাওয়া। এনডিএ শিবিরের পক্ষে তা ধরে রাখা প্রায় অসম্ভব বলেই মনে করা হচ্ছে। হরিয়ানাতেও আসন কমতে পারে বিজেপির। সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ অবশ্য রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ আর ঝাড়খণ্ডে। রাজস্থান-মধ্যপ্রদেশে সদ্য ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস। স্বাভাবিকভাবেই এখন হাত শিবিরের সংগঠন চাঙ্গা। ২০১৪ সালে বিজেপি যে আসন পেয়েছিল, সেই আসন ধরে রাখা কার্যত অসম্ভব। মহারাষ্ট্রেও কংগ্রেস-এনসিপি জোট কড়া টক্কর দিচ্ছে বিজেপিকে। এর মধ্যে মুম্বইয়ের কয়েকটি আসনে কংগ্রেস বেশ জনপ্রিয় প্রার্থী দিয়েছে। ঝাড়খণ্ডেও বিরোধীরা একত্রিত। তাছাড়া রাজ্য সরকারের উপর ক্ষোভ রয়েছে মানুষের। তাই, সেরাজ্যেও ভাল ফল করতে পারে বিরোধী শিবির।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিনা অনুমতিতে সভা, গম্ভীরের বিরুদ্ধে মামলা কমিশনের]

একমাত্র বিহারেই জেতা আসনগুলি ধরে রাখার অবস্থায় আছে বিজেপি। কারণ, নীতীশ কুমার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা এখনও বিহারে অটুট। তবে, গেরুয়া শিবিরকে সবচেয়ে বেশি বেগ দিচ্ছে উত্তরপ্রদেশের ৫৪টি আসন। এর অধিকাংশই পূর্ব উত্তরপ্রদেশের। যেখানে জাতীয়তাবাদ এবং উন্নয়নকে টপকে জাতপাতের সমীকরণই ভোটের মূল ইস্যু। আর এখানেই বাজিমাত করতে পারে সপা-বসপার জোট। আবার মেরুকরণ হয়ে গেলে ফায়দা পেতে পারে গেরুয়া শিবির। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত গ্রাউন্ড রিপোর্ট বলছে, যোগীরাজ্যে এবার বিপদই আছে গেরুয়া শিবিরের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ