Advertisement
Advertisement
COVID-19

২০২০-তে দেশে দ্বিগুণ হয়েছে দারিদ্র, করোনার নয়া ইনিংসে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির আশঙ্কা

সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা ঘিরে বাড়ছে আশঙ্কা।

Poverty doubled in India in 2020. Will Covid-19 second wave make it worse । Sangbad Pratidin

ছবি -প্রতীকী

Published by: Biswadip Dey
  • Posted:April 22, 2021 5:54 pm
  • Updated:April 22, 2021 5:54 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার (Coronavirus) দ্বিতীয় ঢেউয়ের (Second wave) ধাক্কায় লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে ফের লকডাউনের আতঙ্ক ছড়াতে শুরু করেছে অনেকের মনে। যদিও এই মুহূর্তে সেই পথে হাঁটতে চাইছে না কেন্দ্র। কিন্তু তা না হলেও সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কাতেই দেশের অর্থনীতি প্রবল সংকটের মুখে পড়তে চলেছে। তেমনটাই আশঙ্কা অর্থনীতিবিদদের। ‘নমুরা’ প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক রিপোর্টের দাবি, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব আশঙ্কার থেকেও খারাপ হতে চলেছে।

করোনা অতিমারীর (Pandemic) প্রথম পর্যায়ে তথা সংক্রমণের প্রথম ঢেউয়ের ধাক্কায় ভারতের দারিদ্র দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছিল। ‘পিউ রিসার্চ সেন্টার’-এর এক রিপোর্ট থেকে তেমনটাই জানা গিয়েছিল। তার সঙ্গেই মুখ থুবড়ে পড়েছিল জিডিপি। লকডাউনের অপ্রত্যাশিত ধাক্কায় বিপুল পরিমাণ মানুষ কাজ হারিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, ২০১১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দারিদ্রের মোকাবিলায় ভারত অনেকটাই সাফল্য পেয়েছিল। কিন্তু ২০২০ সালে করোনার ধাক্কায় রাতারাতি মুখ থুবড়ে পড়ে পরিস্থিতি। এমনিতেই দেশের অর্থনীতির পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হতে শুরু করেছিল। লকডাউনে তা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: আকালের মধ্যেই হরিয়ানার হাসপাতাল থেকে চুরি গেল ১৭৭০ ডোজ ভ্যাকসিন, অব্যবস্থা হরিয়ানায়]

এই পরিস্থিতিতে দেশে শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। যাকে ঘিরে ফের সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন অর্থনীতিবিদরা। ‘নমুরা’র রিপোর্ট বলছে, যেভাবে সংক্রমণের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে তাতে ছোটখাটো ব্যবসা প্রবল ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশব্যাপী লকডাউন না হলেও, যেভাবে বহু রাজ্য লকডাউনের পথে হাঁটতে শুরু করেছে তার ফল অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উপরে গুরুতর হতে চলেছে।

Advertisement

ইতিমধ্যেই মুম্বই ও দিল্লিতে এর কুফল দেখা যাচ্ছে। যেহেতু করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বাড়তে থাকা সংক্রমণ কমার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না, তাই সামগ্রিক ছবিটা যে আরও ভয়ানক হতে চলেছে, সেকথা ভেবে আশঙ্কিত বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, যদি টিকাকরণের পরিমাণ বাড়ে ও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসে তাহলে আলাদা কথা। কিন্তু যদি মে মাসের শেষেও পরিস্থিতি উদ্বেগজনক থাকে তাহলে মানুষের উপার্জনে তার প্রভাব সুদূরপ্রসারী হতে চলেছে।

[আরও পড়ুন: রাজ্যে সবাইকে বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন, তপনের সভা থেকে ঘোষণা মমতার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ