সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (Presidential Polls) ঘিরে সরগরম দিল্লির সংসদ ভবন। মনোনয়ন পেশ করলে বিরোধীদের মনোনীত রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশবন্ত সিনহা (Yashwant Sinha)। তাঁকে শেষ মুহূর্তে সমর্থন দিল কেসিআরের তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি (TRS)। ফলে আরও শক্তিশালী বিরোধী ঐক্য।
Opposition’s Presidential polls candidate Yashwant Sinha files nomination
Read @ANI Story | https://t.co/B6KPmJFKNi
#PresidentialElection #YashwantSinha #Nomination pic.twitter.com/RWbjEBrxXY— ANI Digital (@ani_digital) June 27, 2022
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee), কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী, সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদব ছাড়াও বিরোধী দলের অন্যান্য প্রতিনিধিরা ছিলেন সঙ্গে। মনোনয়ন পেশের আগে সংসদ ভবনের বাইরে যশবন্ত সিনহাকে সংবর্ধনা দেন বিরোধীরা। উত্তরীয় পরিয়ে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বেলা গড়াতেই বিরোধীদের আগমনে ভরে উঠছিল দিল্লির সংসদ ভবন। একে একে সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। পৌঁছে যান সীতারাম ইয়েচুরি, অখিলেশ যাদব, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়রা। তৃণমূলের তরফে উপস্থিত ছিলেন সৌগত রায়, তাপস রায়রা। এমনকী শেষ মুহূর্তে বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে সমর্থন দিয়ে মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় TRS’এর তরফে কেটি রামা রাও উপস্থিত হন। মনোনয়নের আগে বিরোধীরা বৈঠক করেন। আর তাতেই স্পষ্ট হয় তাঁদের ঐক্য।
[আরও পড়ুন: বর্ধমানে লাইনচ্যুত ট্রেন, বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা, তদন্তের নির্দেশ রেলের]
এরপর সাড়ে ১২ টা নাগাদ মনোনয়ন পেশ করেন যশবন্ত। সেসময় তাঁর পাশে ছিলেন অভিষেক, অখিলেশ, রাহুলরা। মনোনয়ন দিয়ে বেরিয়েই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিরোধীরা। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ”এটা দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই নয়, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ধর্মনিরপেক্ষতার লড়াই। কংগ্রেস, ডিএমকে সবাই আমাদের প্রার্থীকে সমর্থন করেছেন।”
[আরও পড়ুন: রেল লাইনে প্রসব তরুণীর, মা ও সন্তানকে আগলে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছে দিলেন রেলকর্মীরা]
সংক্ষিপ্ত সাংবাদিক বৈঠক শেষ করেই যশবন্ত সিনহা চলে যান গান্ধীমূর্তির কাছে। জাতির জনকের মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান। মাল্যদান করেন রাহুল গান্ধীও। তবে মনোনয়নের আগে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির সমর্থন। এদিন সকালে যশবন্ত নিজে টিআরএসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে সমর্থন আদায় করেন। ফলে বিরোধী ঐক্য আর পোক্ত হল, তা বলাই যায়।