সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজনীতি সরকারি চাকরি নয়, তাই রাজনৈতিক নেতাদের কোনও নির্দিষ্ট অবসরের বয়স থাকতে পারে না। এমনটাই জানালেন লোকসভার বিদায়ী স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। তিনি বলেন, “রাজনীতিবিদদের কাজ সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই এই কাজের কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে না।” এই প্রসঙ্গে তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাইয়ের প্রসঙ্গও টানেন। ৮১ বছর বয়সে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন মোরারজি।
[আরও পড়ুন- আঠেরো রাজ্যের ৯১ আসনে শুরু ভোটগ্রহণ, লড়াইয়ে একাধিক হেভিওয়েট]
১৯৮৯ সাল থেকে ইন্দোর লোকসভা কেন্দ্রে জিতে আসছেন সুমিত্রা। কিন্তু, এবারের লোকসভা ভোটে আর প্রার্থী না হওয়ার কথা নিজেই কয়েকদিন আগে ঘোষণা করে দেন। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে চিঠি লিখে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে তিনি লেখেন, ইন্দোরের আসনে অন্য কাউকে প্রার্থী করতে পারে বিজেপি। তিনি প্রার্থী না হলেও দলের কাজে সময় দেবেন।
[আরও পড়ুন- যেন হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালা, কন্নড়ভূমে স্বপ্ন ফেরি ‘সিংঘম’-এর জয়কান্তের]
শুক্রবারই ৭৬ বছর বয়স হবে সুমিত্রার। তবে ৭৫ বছরের বেশি বয়সের নেতাদের প্রার্থী না করার দলীয় সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না বলেও মন্তব্য করেন সুমিত্রা। এপ্রসঙ্গে তিনি জানান, “লোকসভার স্পিকার হিসেবে গত পাঁচ বছর বিজেপির কোনও বৈঠকেই যাননি তিনি। তাই এই ব্যাপারে কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই তাঁর কাছে। যা বলার অমিত শাহ বলতে পারবেন।”
[আরও পড়ুন-প্রচারে বেরিয়ে ‘নাগিন ডান্স’ করলেন কর্ণাটকের মন্ত্রী, ভাইরাল ভিডিও]
৭৫ বছরের বেশি বয়সি নেতাদের আর প্রার্থী না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। তাই টিকিট দেওয়া হয়নি লালকৃষ্ণ আডবানী ও মুরলী মনোহর যোশীর মতো নেতাদেরও। এমন অবস্থায় সুমিত্রার এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। এর আগে ইন্দোরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘ম্যায় ভি চৌকিদার‘ অনুষ্ঠানেও হাজির হননি সুমিত্রা মহাজন।পাশাপাশি টুইটারে যে সামান্য কয়েকজন বিজেপি নেতানেত্রী নামের আগে চৌকিদার বসাননি, সুমিত্রা তাঁদের একজন। গত মাসেও একটি দলীয় সভায় তিনি বলেন, “ইন্দোর থেকে হয় আমি, নয় নরেন্দ্র মোদি।” যদিও পরে তিনি জানান, এ কথা তিনি বলেছিলেন মজা করার জন্যই।