সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্ষমতার অলিন্দে থাকার জন্য অনেককিছুই করতে পারেন রাজনৈতিক নেতারা। তবে ভোট এলে অন্য সময়ের থেকে তৎপরতা বেড়ে যায় অনেকটাই। ভোটে জেতার পর যাঁদের চুলের টিকি পর্যন্ত দেখা যায় না, তাঁরাই পরেরবার প্রচারে এসে ভোটারদের দৈনন্দিন কাজে সাহায্য করেন। যেখানে কাকও কাকের মাংস খায় না! সেখানে কেউ কেউ টিকিট না পেয়ে নিজের দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গেই জড়িয়ে পড়েন মারামারিতে।
[আরও পড়ুন-নির্বাচনের প্রথম দফাতেই ভোটের বলি টিডিপি নেতা, উত্তপ্ত অন্ধ্রপ্রদেশ]
বুধবার এই রকমই একটি দৃশ্যের সম্মুখীন হলেন মহারাষ্ট্রের জলগাঁও-এর বিজেপি নেতা-কর্মীরা। প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষের জেরে নির্বাচনী জনসভার মঞ্চেই মারামারি শুরু করলেন দুই বিজেপি নেতার অনুগামীরা। ওই মারামারির ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট হতেই ভাইরাল হয়েছে।
[আরও পড়ুন- পুলওয়ামা কাণ্ডের পর কাশ্মীর নিয়ে ক্ষোভ জমেছে জম্মুর]
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার মুম্বই থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে উত্তর মহারাষ্ট্রের জলগাঁও লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন উমেশ পাটিল। বুধবার তাঁর সমর্থনে জলগাঁওয়ে যৌথভাবে একটি জনসভার আয়োজন করেছিল বিজেপি ও শিবসেনা। সভামঞ্চে মহারাষ্ট্রের এক মন্ত্রী গিরিশ মহাজন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ওই জেলার বিজেপি সভাপতি উদয় ওয়াগ ও প্রাক্তন বিধায়ক বি এস পাটিল-সহ অন্যরা। বিজেপি সূ্ত্রে খবর, প্রথমে জলগাঁও লোকসভা আসনে বিজেপির জেলা সভাপতি উদয় ওয়াগের স্ত্রী স্মিতা ওয়াগকে প্রার্থী করেছিল দল। কিন্তু, পরে প্রাক্তন বিধায়ক বি এস পাটিল ও বিদায়ী সাংসদ এ কে পাটিল যৌথভাবে স্মিতার নামে প্রচার চালিয়ে প্রার্থী তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়ান বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন- রাজনীতিতে অবসরের বয়স হয় না, জল্পনা ওড়ালেন সুমিত্রা মহাজন]
এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন উদয় ওয়াগের অনুগামীরা। বুধবার যখন উমেশ পাটিলের সমর্থনে জনসভা চলছে তখন সভামঞ্চের উপরেই বি এস পাটিলের অনুগামীদের সঙ্গে মারামারি শুরু করেন তাঁরা। বিষয়টি চোখের সামনে ঘটতে দেখলেও তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী গিরিশ মহাজন। পরে সভাস্থলে থাকা পুলিশকর্মীরা উভয়পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
#WATCH Maharashtra: Two groups of BJP workers clash during Maharashtra Minister Girish Mahajan’s public meeting in Jalgaon. pic.twitter.com/SxDhVfaZRJ
— ANI (@ANI) April 10, 2019