সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্ষণের বাড়বাড়ন্তে তিতিবিরক্ত হয়ে পড়েছে গোটা দেশ। সবাই ধর্ষকদের কড়া শাস্তি চাইছে। এই ধরনের অপরাধের ঘটনার জন্য সম্প্রতি পর্নসাইটগুলিকে দায়ী করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। ভারতে নারী নির্যাতনের ঘটনা রুখতে এই ধরনের ওয়েবসাইটগুলিকে বন্ধ করার দাবিও তোলেন তিনি। আর ঠিক তার পরেই ধর্ষণের ঘটনা ঠেকানোর জন্য পড়ুয়াদের সংস্কৃত শ্লোক শেখানোর পরামর্শ দিলেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগত্ সিং কোশিয়ারি। বৃহস্পতিবার নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে কর্তৃপক্ষকে ছাত্রদের শ্লোক শেখানোর উপদেশ দেন তিনি।
ভাল ও খারাপ মানুষদের পার্থক্য বোঝাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘একসময়ে বাড়িতে বাড়িতে কন্যা পুজো হত। কিন্তু, এখন কী হচ্ছে? বদমায়েশ লোকজন মহিলাদের ধর্ষণ করে খুন করছে। এই ক্ষমতা কী হেনস্তার জন্য না প্রতিরক্ষার জন্য? তাই আমার মনে হয়, ছাত্রদের সংস্কৃত শ্লোক শেখানোর দরকার আছে। যাতে এই ধরনের অপরাধ আর না ঘটে।’
[আরও পড়ুন: ব্রহ্মস-এর পর এবার শত্রুশিবিরে কাঁপন ধরাবে ঘাতক ‘পিনাক’]
কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে পর্নসাইটগুলি বন্ধ করার আরজি জানান বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করা হয়। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে পর্নসাইট ও অশ্লীল কনটেন্টগুলি বন্ধ করার আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এই ধরনের ওয়েবসাইটগুলি কিছু মানুষের মনে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। আর এর ফলেই বাড়ছে মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনা।
গত ১২ ডিসেম্বর সংসদে সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয় বিল নিয়ে আলোচনার সময় অদ্ভুত দাবি করেন বিজেপি সাংসদ গণেশ সিং। সংস্কৃতে কথা বললে কোলেস্টোরল ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে বলে দাবি করেন। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার মতে, যদি কম্পিউটার প্রোগ্রামিং সংস্কৃতে করা হয়ে তাহলে তা নিখুঁত হয়। তাদের পাশাপাশি আমেরিকার একটি গবেষণা সংস্থাও সংস্কৃত নিয়ে তাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে। তারা গবেষণা করে দেখেছে যে প্রতিদিন সংস্কৃতে কথা বলা দেহের নার্ভ সিস্টেমকে উজ্জীবিত করে। ডায়াবেটিস ও কোলেস্টোরলকে সমুদ্রে ছুঁড়ে ফেলে। ইসলামিক ভাষাগুলি-সহ বিশ্বের ৯৭ শতাংশ ভাষাই সংস্কৃত থেকে সৃষ্টি হয়েছে।’