Advertisement
Advertisement

Breaking News

স্পিকার ওম বিড়লা

‘ব্রাহ্মণরাই শ্রেষ্ঠ, সমাজের পথপ্রদর্শক’, বিতর্কিত মন্তব্য স্পিকার ওম বিড়লার

সাংবিধানিক পদে থেকে বর্ণভেদে উসকানি!

Speaker Om Birla has said that Brahmins are held in high regard
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:September 11, 2019 2:39 pm
  • Updated:September 11, 2019 2:56 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “ব্রাহ্মণরা চিরদিনই সমাজে উন্নত স্থান পেয়ে আসছেন। এটা ওঁদের ত্যাগ আর তপস্যার পরিণাম। আর একারণেই ব্রাহ্মণরা চিরদিন সমাজের পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করেন।” কথাগুলি কোনও হিন্দু ধর্মগুরু বা ধর্মীয় সংগঠনের নেতা বলছেন না। বলছেন খোদ লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। সাংবিধানিক পদে থাকা সত্ত্বেও একপ্রকার বর্ণভেদে ইন্ধন দিলেন স্পিকার। স্বাভাবিকভাবেই ওম বিড়লার এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা শুরু হয়েছে। তাঁর অপসারণের দাবিও উঠছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘ওলা-উবেরের জন্যই দুর্গতি গাড়ি শিল্পের’, দায় এড়িয়ে মন্তব্য অর্থমন্ত্রীর!]

মূল ঘটনাটি রাজস্থানের কোটার। গত রবিবার সেখানে অখিল ভারত ব্রাহ্মণ মহাসভায় যোগ দেন স্পিকার ওম বিড়লা। সেখানেই একথা বলেন স্পিকার। পরে টুইটারেও ফলাও করে তিনি একই কথা লেখেন। তিনি ব্রাহ্মণ্যবাদে বিশ্বাসী। একথা কারওরই অজানা নয়। সংঘ পরিবারের সদস্য বিড়লা যে হিন্দুত্বের আদর্শে অনুপ্রাণিত হবেন এতে অবাক হওয়ারও কিছু নেই। কিন্তু, তা বলে এত বড় সাংবিধানিক পদে থাকা সত্ত্বেও কীভাবে বর্ণভেদে উসকানিমূলক কথা বলছেন স্পিকার, তা ভেবে পাচ্ছেন না নেটিজেনরা। নিরপেক্ষতার শপথ নিয়ে যিনি সাংবিধানিক পদে বসেছেন, তিনি কীভাবে একটি বর্ণের শ্রেষ্ঠত্বের প্রশ্নে সওয়াল করতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

[আরও পড়ুন: ট্রাফিক আইন ভাঙার শাস্তি, ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা ট্রাক মালিককে]

ওম বিড়লার এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন নেটিজেনদের একাংশ। দলিত নেতা জিগনেশ মেবানি স্পিকারের অপসারণেরও দাবি জানিয়েছেন। তিনি টুইটারে লিখছেন,” বর্ণভেদের এই নির্মম উচ্ছ্বাস শুধু নিন্দনীয় তাই নয়, তার সঙ্গে শাস্তিযোগ্যও। এটা একটা রসিকতা যে ওঁর মতো লোক আমাদের লোকসভার স্পিকার। ওঁর উচিত প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া।”

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ