Advertisement
Advertisement
Kamduni case

কামদুনি মামলায় এখনই গ্রেপ্তার নয়, সব পক্ষের জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট

কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ খারিজ করে কামদুনি মামলায় এখনই কাউকে গ্রেপ্তার নয়। পরিবর্তে রাজ্য এবং অভিযু্ক্তদের থেকে জবাব তলব করে নোটিস পাঠানোর নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। শীর্ষ আদালতে আপাতত স্থগিত মামলার শুনানি।

Supreme Court seeks report from all parties on Kamduni case । Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:January 2, 2024 1:10 pm
  • Updated:January 2, 2024 1:49 pm

সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ খারিজ করে কামদুনি মামলায় এখনই কাউকে গ্রেপ্তার নয়। পরিবর্তে রাজ্য এবং অভিযু্ক্তদের থেকে জবাব তলব করে নোটিস পাঠানোর নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। শীর্ষ আদালতে আপাতত স্থগিত মামলার শুনানি।

কলকাতা হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় নির্যাতিতার পরিবার। মঙ্গলবার ওই মামলার শুনানি ছিল শীর্ষ আদালতে। এখনই কাউকে গ্রেপ্তারির নির্দেশ জারি করতে নারাজ সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্য এবং মুক্তিপ্রাপ্তদের কাছ থেকে হলফনামা আকারে জবাব তলব করা হয়েছে। হলফনামার পরই মামলার পরবর্তী শুনানি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বগটুইয়ের ভাদু শেখ খুনে অভিযুক্ত ছোট লালনের মৃত্যু]

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৭ জুন পরীক্ষা দিয়ে কামদুনির (Kamduni) বাড়িতে ফিরছিলেন রাজারহাট ডিরোজিও কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। অভিযোগ, বাস থেকে নেমে হেঁটে বাড়ি ফেরার পথে তাঁকে রাস্তা থেকে জোর করে পাঁচিল ঘেরা একটি ঘরে নিয়ে যায় নজন দুষ্কৃতী। সেখানেই দফায় দফায় চলে গণধর্ষণ। এমনকী নির্যাতনের পর ছাত্রীটিকে ভেড়িতে ফেলে যায় দুষ্কৃতীরা। এদিকে, বাড়ির মেয়ের খোঁজখবর শুরু হয়।

Advertisement

এলাকার লোকজনকে নিয়ে বেরিয়ে গ্রাম থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে ৮ বিঘে ভেড়ি অঞ্চলে একটি পাঁচিলের পাশে রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় ছাত্রীর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। এই ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে ধিক্কার-আন্দোলন শুরু হয়। রাজ্য পুলিশের কাছ থেকে তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় সিআইডির হাতে। তদন্তভার হাতে নিয়ে সিআইডি অভিযুক্ত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে।

গত বছরের ৬ অক্টোবর কামদুনি গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ফাঁসির সাজা রদ। পরিবর্তে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের। দোষী আনসার আলি মোল্লা এবং সইফুল আলি মোল্লাকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। বেকসুর খালাস আমিন আলি, ইমানুল হক, ভোলানাথ নস্কর এবং আমিনুর ইসলাম। কলকাতা হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় নির্যাতিতার পরিবার। রাজ্য সরকারও শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়। 

[আরও পড়ুন: মশারি খাটিয়ে ভোরের ট্রেনে যাত্রা! কড়া ব্যবস্থা নেবে রেল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ