Advertisement
Advertisement
মোদি

‘ওঁদের সাহস ও আত্মত্যাগ ভুলবে না এই দেশ’, হান্দেওয়ারায় শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন মোদির

পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁদের বিদায় জানানো হয়েছে।

'Their valour & sacrifice will never be forgotten': PM Modi on Handwara encounter
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:May 3, 2020 4:12 pm
  • Updated:May 4, 2020 12:20 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মারণ করোনাকে উপেক্ষা করেই সীমান্তে কড়া পাহারা দিয়ে চলেছেন ওঁরা। শত্রুপক্ষের আক্রমণের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়াতে হচ্ছে বারবার। এমন সংকটের দিনেও কাঁটাতারের ওপার থেকে গোলাবর্ষণে নিস্তার নেই। আর তাতেই শহিদ হলেন কর্নেল-মেজর-সহ পাঁচজন। এই বীরত্ব, আত্মত্যাগ ভোলার নয়। টুইটারে শহিদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে সে কথাই লিখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

সারা বিশ্ব যখন করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে তখন পাকিস্তানের মদতে কাশ্মীরে ক্রমাগত নাশকতার চেষ্টা চালাচ্ছে জঙ্গিরা। শনিবার রাতে তাদের নাশকতার ছক বানচাল করতে গিয়ে উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার হান্দেওয়ারায় প্রবল গুলিযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন ভারতীয় নিরাপত্তারক্ষীরা। যাতে শহিদ হন রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের এক কর্নেল, একজন মেজর, দুই জওয়ান এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের এক সাব ইনস্পেক্টর। পালটা গুলিতে খতম হয় দুই জঙ্গিও।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘রাহুল প্রতিদিন মিথ্যা বলছেন’, আরোগ্য সেতু নিয়ে কংগ্রেস নেতাকে কটাক্ষ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর]

তাঁদের শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে মোদি লেখেন, “হান্দেওয়ারায় শহিদ সাহসী সেনা ও নিরাপত্তারক্ষীদের শ্রদ্ধা জানাই। তাঁদের বীরত্ব ও আত্মত্যাগ দেশ কখনও ভুলবে না। নিজেদের প্রাণপাত করে, নিরলস পরিশ্রম করে দেশসেবা করেছেন তাঁরা। নাগরিকদের সুরক্ষার্থে সদা প্রস্তুত থাকতেন। তাঁদের পরিবার ও পরিজনদের প্রতি আমার সহানুভূতি।” 

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে খবর মেলে হান্দেওয়ারার চানাজমুলা গ্রামের এক বাসিন্দার বাড়িতে লুকিয়ে রয়েছে দু’জন জঙ্গি। বাড়ির সদস্যদের পণবন্দি করে রেখেছে। এরপরই ২১ নম্বর রাষ্ট্রীয় রাইফেলস এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের যৌথ বাহিনী ওই এলাকায় তল্লাশি চালাতে শুরু করে। দুপুর সাড়ে তিনটা নাগাদ পণবন্দি নাগরিকদের উদ্ধার করতে ওই বাড়ির মধ্যে ঢোকার চেষ্টা করেন যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। সেসময়ই আচমকা ভিতর থেকে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। দীর্ঘক্ষণ গুলির লড়াইয়ের পর রাতে বন্ধ থাকে। তবে রবিবার ভোর হতেই ফের শুরু হয় এনকাউন্টার। এতেই শহিদ হন রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের কমান্ডিং অফিসার কর্নেল আশুতোষ শর্মা, মেজর অনুজ সুদ, ল্যান্সনায়েক দীনেশ, রাইফেলম্যান রাজেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের এসআই (SI) শাকিল কাজী। নিরাপত্তারক্ষীদের পালটা গুলিতে খতম হয় দুই জঙ্গিও। এরপরই ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় পণবন্দি বাসিন্দাদের।

পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁদের বিদায় জানানো হয়। শহিদ কর্নেল আশুতোষ শর্মার পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। সেই সঙ্গে পরিবারের একজন সদস্যকে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।

[আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত আরও এক কর্মী, সিল করা হল সিআরপিএফের দিল্লি সদর দপ্তর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ