Advertisement
Advertisement

Breaking News

দিওয়ালিতেও ভারতের এই গ্রামে ফাটে না শব্দবাজি, জানেন কেন?

প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা নয়, বাজি না ফাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গ্রামবাসীরাই।

TN villages say no to crackers to help birds, bats
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 19, 2017 12:00 pm
  • Updated:October 19, 2017 12:00 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাড়ি পোড়ালে পরিবেশ দূষণের মাত্রা তো বাড়েই। সেই সঙ্গে বাজির বিকট শব্দে গুরুতর অসুস্থও হয়ে পড়েন অনেকেই। তাই কালিপুজো বা দিওয়ালির আগে শব্দবাজির দাপট রুখতে নানাধরণের সচেতনতামূলক প্রচারও চলে। কিন্তু, পরিস্থিতি বদলায় না। এমনকী, সম্প্রতি রাজধানীতে বাজি নিষিদ্ধ করা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়েরও সমালোচনা করেছেন সাহিত্যিক থেকে রাজনীতিবিদরা। অথচ তামিলনাড়ুর বেশ কয়েকটি গ্রামে শুধুমাত্র পাখিদের কথা ভেবে বছরের পর বছর দিওয়ালিতে বাজি ফাটানো থেকে নিজেদের বিরত রেখেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

[‘আপনারাই আমার পরিবার’, সেনার পাশে দাঁড়িয়ে দিওয়ালিতে বার্তা মোদির]

Advertisement

বাজির বিকট শব্দে শুধু যে মানুষেরই অসুবিধা হয়, এমন নয়। বাজির শব্দে ভয় পায় পাখিরাও। তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। পাখিরা অস্থির হয়ে ওঠে। তাই বহু বছর ধরেই দিওয়ালিতে বাজি ফাটান না তামিলনাড়ুর তিরুনেলভেলি জেলার কুথানকুলাম গ্রামের বাসিন্দারা। কারণ এই গ্রামে রয়েছে একটি পক্ষীরালয়। এমনকী, কুথানকুলাম গ্রামে কোনও ধর্মীয় কিংবা পারিবারিক অনুষ্ঠানে লাউডস্পিকারও বাজানো হয় না। তবে শুধু কুথানকুলাম গ্রামই নয়, দিওয়ালিতে শব্দহীন বা বলা ভাল, বাজিহীন থাকে সালেম জেলার ভিভ্ভাল থুপ্পু, নাগাপাট্টিনাম জেলার পেরামবুর ও কাঞ্জপুরম জেলার বিশার গ্রামও। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, পাখি ও বাদুড়রা ভয় পায় বলে বহু বছর আগে গ্রামবাসীরাই দিওয়ালিতে বাজি না ফাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এখনও সেই সিদ্ধান্ত মেনে চলেন সকলে।

Advertisement

[দিওয়ালিতে ধর্ষক রাম রহিমের রেকর্ড ভাঙতে চলেছেন আদিত্যনাথ]

তামিলনাড়ুর ভেল্লোড পক্ষীরালয় লাগোয়া ছয়টি গ্রামেও প্রতিবারের মতো এবারও দিওয়ালি উপলক্ষ্যে উৎসব হয়েছে। কিন্তু, বাজি ফাটেনি। গ্রামের এক প্রবীণ বাসিন্দা জানিয়েছেন, পক্ষীরালয়ের দিঘিতে আসা দেশি-বিদেশি পাখিদের কথা ভেবেই ১৮ বছর আগে দিওয়ালিতে বাজির না ফাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন গ্রামেরই আটজন বাসিন্দা। কিন্তু, মজার বিষয় হল, ভেল্লোড পক্ষীরালয়ের দিঘি এখন কার্যত শুকিয়ে গিয়েছে। কিন্তু, পক্ষীরায়ল লাগোয়া গ্রামগুলিতে বাজি না ফাটানোর রেওয়াজে ছেদ পড়েনি।

[জামাইবাবুর হাতেই খুন হরিয়ানার গায়িকা, বিস্ফোরক দাবি বোনের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ