সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাধারণত শচীন তেণ্ডুলকরকে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে শোনা যায় না। বিতর্কিত কোনও বিষয়ে মুখও খোলেন না তেমন। কিন্তু স্বার্থের সংঘাত মামলায় নিজের দিকে আঙুল উঠতেই রীতিমতো বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন মাস্টার ব্লাস্টার। বললেন, বিসিসিআইয়ের নিজের অবস্থানই স্পষ্ট নয়। বোর্ডের উচিত আগে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করা।
[আরও পড়ুন: কোহলিদের জয়ে নাইট শিবিরে আশার আলো, জমল প্লে অফের অঙ্ক]
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ উঠেছিল শচীন তেণ্ডুলকর এবং ভি ভি এস লক্ষ্মণের বিরুদ্ধেও। ৪৬তম জন্মদিনেই বোর্ডের ওম্বুডসম্যানের নোটিস পেয়েছিলেন শচীন। ডিকে জৈনের নোটিসে উল্লেখ ছিল স্বার্থ সংঘাতের। আইপিএল থেকে অবসরের পরই মুম্বই দলের মেন্টর মাস্টার ব্লাস্টার। একইসঙ্গে তিনি ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটির সদস্যও। প্রশ্ন ওঠে, একসময়ে দুটি পদে কীভাবে থাকতে পারেন তিনি। শচীনের পাশাপাশি সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মেন্টর লক্ষ্মণকেও একই নোটিস পাঠান ওম্বুডসম্যান। দুই কিংবদন্তির বিরুদ্ধে অভিযোগটি করেন মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার সদস্য সঞ্জীব গুপ্ত।
[আরও পড়ুন: পাঞ্জাব ম্যাচ চলাকালীন কেন রেগে গিয়েছিলেন? নিজেই ফাঁস করলেন কার্তিক]
ওম্বু়ডসম্যানের চিঠির জবাবে রীতিমতো বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন ক্রিকেট ঈশ্বর। তিনি লিখেছেন, বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়ী বিসিসিআই-ই। এমনকী শচীন ওম্বুডসম্যানকে অনুরোধ করেছেন বিসিসিআইয়ের প্রশাসক প্যানেলের বৈঠক ডেকে বোর্ডের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করা উচিত। বিসিসিআইয়ের সিইও রাহুল জোহরিকেও একই অনুরোধ করেছেন মাস্টার ব্লাস্টার। শচীন বিসিসিআইয়ের নোটিসের জবাবে জানিয়েছেন, “বারবার বিসিসিআইয়ের কাছে তিনি জানতে চেয়েছেন, উপদেষ্টা কমিটিতে তাঁর ভূমিকা কী? কিন্তু বারবার জিজ্ঞেস করা সত্ত্বেও বোর্ড কোনও উত্তর দেয়নি। তাছাড়া উপদেষ্টা মণ্ডলী বর্তমানে সে অর্থে কোনও কাজই করে না।তাই সিএসির সঙ্গে যুক্ত কোনও ব্যক্তির কোনও দলের আইকন হওয়াটা স্বার্থের সংঘাত হতে পারে না।” শচীনের পরামর্শ দ্রুত বিসিসিআইয়ের এই পরিস্থিতিতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করা উচিত। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই স্বার্থের সংঘাত মামলায় বিসিসিআইয়ের পাঠানো নোটিসের জবাব ইতিমধ্যেই দিয়ে দিয়েছেন অপর দুই অভিযুক্ত সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও ভিভিএস লক্ষ্মণ।