Advertisement
Advertisement
লকেট চট্টোপাধ্যায়

পোলবার দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনীতি! এসএসকেএমে শিশুদের সঙ্গে লকেটকে দেখা করতে বাধা

জখম শিশুদের অবস্থা এখনও সংকটজনক।

BJP's Locket Chatterjee faces protest at SSKM Hospital
Published by: Sayani Sen
  • Posted:February 15, 2020 3:40 pm
  • Updated:February 16, 2020 8:26 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পোলবায় পুলকার দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম শিশুদের সঙ্গে দেখা করতে এসএসকেএমে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। হাসপাতালে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় হুগলির সাংসদকে। এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বচসাও বেঁধে যায় তাঁর। সাময়িক বাদানুবাদের পর ট্রমা কেয়ার ইউনিটে ঢুকতে দেওয়া হয় তাঁকে। নিরাপত্তারক্ষী ছাড়াই পরে ট্রমা কেয়ার ইউনিটে ঢুকে ওই ছাত্রদের সঙ্গে দেখা করেন লকেট চট্টোপাধ্যায়

বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, আগে থেকেই জানিয়েছিলেন হুগলির পোলবার পুলকার দুর্ঘটনায় জখম দিব্যাংশু এবং ঋষভের সঙ্গে দেখা করতে এসএসকেএমে আসবেন তিনি। সেই অনুযায়ী শনিবার দুপুর ৩টে নাগাদ হাসপাতালে আসেন। জখম দিব্যাশুর পরিবারের কথা বলেন তিনি। এরপর ট্রমা কেয়ার ইউনিটে ঢুকে জখম ঋষভ এবং দিব্যাংশুর সঙ্গে দেখা করতে চান বিজেপি সাংসদ। তবে ট্রমা কেয়ার ইউনিটে ঢোকার সময় বাধা পান লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে ঢুকতে দেওয়া সম্ভব নয় বলেই জানিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

বাধা পেয়ে বিরক্ত হন বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, “আমি ভিতরে ঢুকে সাংসদ হিসাবে কথা বলতে পারব না? জানিয়ে এসেছিলাম। তা সত্ত্বেও পুলিশ দিয়ে আটকাচ্ছেন কেন? আমি একা ভিতরে যেতে চাই। একা যাব। দেখা করব। পুলিশ দিয়ে আটকে রেখেছে। মানে আমাদের হাসপাতালে ঢোকারও অধিকার নেই। এটা নিয়ে রাজনীতি চলছে। এটা কেউ করে? আমরা চাই ভাল করে চিকিৎসা হোক।” একপ্রস্থ বাদানুবাদের পর অবশেষে বিজেপি সাংসদ ট্রমা কেয়ার ইউনিটে ঢোকেন। জখম শিশুদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘পার্ক সার্কাসের বিক্ষোভকারীরা গরিব-অশিক্ষিত’, ফের কুকথা দিলীপের]

উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে অভিভাবক এবং পড়ুয়া-সহ মোট ১৪ জন পুলকারে চড়ে দিল্লি রোড দিয়ে যাচ্ছিল। স্থানীয়দের দাবি, প্রচণ্ড গতিতে যাওয়ার সময় কামদেবপুরে গাড়িটি দুর্ঘটনায় পড়ে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারের একটি সিমেন্টের পোস্টে সজোরে ধাক্কা মেরে নয়ানজুলিতে পড়ে উলটে যায়। উদ্ধারের পর চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আহতদের। তবে দিব্যাংশু এবং ঋষভ নামে দুই ছাত্রের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। বিপদের সময় অভিভাবকদের পাশে এসে দাঁড়ান হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব। তিনি সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন। সাংসদের পরামর্শেই চুঁচুড়া থেকে পিজি পর্যন্ত গ্রিন করিডর গড়া হয়। দু’টি আলাদা অ্যাম্বুল্যান্সে নিয়ে আসা হয় দুই পড়ুয়াকে। ঋষভকে ৪৮ মিনিটে এবং দিব্যাংশুকে ৬৪ মিনিটে নিয়ে আসা হয় পিজির ট্রমা কেয়ারে।

যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তাদের চিকিৎসা শুরু হয়। সরকারি হাসপাতালে এই প্রথমবার ECMO পদ্ধতিতে চিকিৎসা চলছে দিব্যাংশু এবং ঋষভের। তাদের চিকিৎসায় সাত সদস্যের মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে জখম ঋষভ সিংয়ের অস্ত্রোপচার করা হয়। আপাতত কৃত্রিম ফুসফুসের সাহায্যে শ্বাস নিচ্ছে ওই স্কুলছাত্র। জখম শিশু দিব্যাংশু ট্রমা কেয়ার ইউনিটে রয়েছে। এসএসকেএমের ডিরেক্টর মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলে শিশুদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাসপাতালে গিয়ে শিশুদের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম

দেখুন ভিডিও:

ছবি: অরিজিৎ সাহা

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ