Advertisement
Advertisement
Calcutta High Court

চিকিৎসক শ্যামাপদ মামলায় ব্যাকফুটে রাজ্য, হাই কোর্টে বকেয়া মেটানোর মুচলেকা দিলেন স্বাস্থ্যসচিব

২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন শ্যামাপদ গড়াই। তাঁকে সাসপেনশনের চিঠি পাঠানো হয়েছিল।

Calcutta High Court asked WB govt to clear retired Doctor's payment | Sangbad Pratidin
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:December 2, 2020 10:50 pm
  • Updated:December 2, 2020 10:50 pm

শুভঙ্কর বসু: কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ মতো বাঙ্গুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোলজির প্রাক্তন ডিরেক্টর তথা বিশিষ্ট স্নায়ুশল্য চিকিৎসক শ্যামাপদ গড়াইয়ের বেতন এবং পেনশন বাবদ যাবতীয় বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হবে। বুধবার হাই কোর্টে উপস্থিত হয়ে এই মর্মে মুচলেকা দিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ন স্বরূপ নিগম। এর আগে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছিল বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য ডিভিশন বেঞ্চ।

ঘটনাটি ঠিক কী? ২০১৯-এর ২৪ ডিসেম্বর শ্যামাপদ গড়াইয়ের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের জারি করা তদন্ত প্রক্রিয়া খারিজ করে সুদ-সহ সমস্ত বকেয়া এবং পেনশন মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। কিন্তু তারপরও প্রায় বছর খানেক ঘুরতে গেলেও চিকিৎসকের বকেয়া মেটায়নি রাজ্য সরকার। সেই কারণে ফের তিনি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেই মামলায় আদালত অবমাননার রুল জারি করে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ন স্বরূপ নিগম ও বাঙ্গুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোলজির (BIN) বর্তমান ডিরেক্টর মনোময় বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠিয়েছিল বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন আদালতে হাজির হয়ে শ্যামাপদ গড়াইয়ের বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার মুচলেকা দেন খোদ স্বাস্থ্যসচিব।

Advertisement

[আরও পড়ুন: আজ থেকে স্কুলে ভরতি প্রক্রিয়া শুরু, প্রকাশিত মাধ্যমিক পরীক্ষা সংক্রান্ত নয়া বিজ্ঞপ্তিও]

উল্লেখ্য, রাজ্যে পরিবর্তনের অব্যবহিত পরে হাসপাতালে-হাসপাতালে আচমকা পরিদর্শন শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার মাসেই ২৬ মে স্নায়ু-চিকিৎসার সেরা সরকারি হাসপাতাল বাঙ্গুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোলজি (বিআইএন) পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সে সময় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন গড়াই। এরপর তাঁকে সাসপেনশনের চিঠি পাঠানো হয়। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরুরও বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। ২০১৮-য় অবসরের সময় পেরিয়ে গেলেও তদন্ত শেষ হয়নি। অবশেষে স্বস্তি পেলেন তিনি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: যাত্রীচাপ সামাল দিতে বদলাচ্ছে মেট্রোর সময়সূচি, বদল আসছে ই-পাসের নিয়মেও]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ