Advertisement
Advertisement

ফের অঙ্গনওয়াড়ি খাতে কেন্দ্রের কাটছাঁট, বাড়তি ২৫০ কোটির বোঝা রাজ্যের ঘাড়ে

কেন্দ্রের সদিচ্ছা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।

Centre to reduce funds for ICDS workers
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 24, 2018 9:36 am
  • Updated:July 24, 2018 9:36 am

দীপঙ্কর মণ্ডল: রাজ্যের লক্ষাধিক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের জন্য আর্থিক বরাদ্দ কমিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে অঙ্গনওয়াড়ি খাতে একলাফে বিরাট ব্যয়বৃদ্ধি হতে চলেছে রাজ্যের। আইসিডিএস কর্মীদের যে সাম্মানিক দেওয়া হয়, শুধুমাত্র সেই খাতেই বাড়তি ২৫০ কোটি টাকার বোঝা চাপছে রাজ্যের ঘাড়ে। নারী ও শিশুকল্যাণ দপ্তর বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরে আনছে।

[ধর্মের নামে অধর্ম চলছে, গণপিটুনির ঘটনায় নাম না করে বিজেপিকে তোপ মমতার]

সোমবার শিশু, নারী ও সমাজকল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী শশী পাঁজা একথা জানিয়েছেন। এদিন বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে মন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার বরাদ্দের পরিমাণ কমিয়ে দিচ্ছে। তা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের সাম্মানিক বাড়িয়ে দিয়েছেন।” রাজ্যে এখন ১ লক্ষ ১৫ হাজার ৪৫৯টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চলছে। জেলাস্তরে প্রকল্প আধিকারিক ছাড়াও সাতজন করে এই প্রকল্পের দেখভাল করেন। ব্লকস্তরে আছেন চারজন করে। জেলাস্তরে দু’জন ও ব্লকস্তরে একজনের বেতন দেয় কেন্দ্র।

Advertisement

[মেডিক্যাল কাণ্ডের জের, পদ খোয়ালেন স্বাস্থ্যসচিব ও স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা]

এর আগে ইউপিএ জমানায় ২০১৪ সালে কেন্দ্র ও রাজ্যের বেতন দেওয়ার আনুপাতিক হার ছিল ৯০:১০ শতাংশ। অর্থাৎ প্রকল্পের সিংহভাগ ব্যয় বহন করত কেন্দ্রীয় সরকার। মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেই বরাদ্দ কমতে শুরু করে। ২০১৬ সালে তা কমে খরচের আনুপাতিক হার দাঁড়ায় ৬০ ও ৪০ শতাংশে। এর পরে আরও কমানো হয় বরাদ্দের পরিমাণ। এখন কেন্দ্র দেয় মাত্র ২৫ শতাংশ। রাজ্যকে বহন করতে হয় ৭৫ শতাংশ খরচ। যার ফলে শুধুমাত্র বেতন খাতেই রাজ্যকে অতিরিক্ত ২৫০.৬৩ কোটি টাকা বছরে খরচ করতে হবে। গতকাল মন্ত্রী শশী পাঁজা বিধানসভার লবিতে জানিয়েছেন, বাড়তি খরচের কথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হবে। কোন খাত থেকে এই টাকা জোগাড় হবে তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তিনিই। কিন্তু কেন্দ্র যেভাবে ক্রমাগত বরাদ্দ কমাচ্ছে, তাতে প্রকল্প চালানোর সদিচ্ছা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।

Advertisement

[লটারি নয়, মেধার ভিত্তিতে স্কুলে ভরতি নেওয়ার ভাবনা রাজ্যের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ