স্টাফ রিপোর্টার: এক মানসিক রোগীকে ‘খুন’ করার অভিযোগে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলায় গ্রেপ্তার হলেন চিকিৎসক। অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম আর কে ব্রহ্ম। সল্টলেকের এক বেসরকারি মানসিক হাসপাতালে ওই চিকিৎসক মানসিক রোগগ্রস্ত এক ছাত্রকে পিটিয়ে মেরেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। পুলিশি তদন্তে ও মৃত ছাত্রের ময়নাতদন্তর রিপোর্ট এবং হাসপাতালের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ডাঃ ব্রহ্মর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের ভিত্তি রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তার ভিত্তিতেই সোমবার রাতে ওই ডাক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্তকে ৩০৪ ধারায় মামলা রুজু করে মঙ্গলবার বেলায় বিধাননগর আদালতে অভিযুক্তকে হাজির করা হয়েছে। নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আবেদন করেছে বিধাননগর কমিশনারেট। কারণ, ৩০৪ ধারা জামিন অযোগ্য এবং তদন্তের প্রয়োজনে ওই ডাক্তারকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
[২৮ মাস পর খুলল বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়াম]
মানসিক অসুস্থতা নিয়ে সল্টলেকের ওই বেসরকারি হাসপাতালে সন্তানকে ভর্তি করেছিলেন একটি পরিবার। কিন্তু কিছুদিন পর ওই ছাত্রটি মারা যায়। চিকিৎসক দাবি করেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে ছাত্রটি। কিন্তু পরিবার পাল্টা দাবি করে বলে, শারীরিক নির্যাতনের জেরে মৃত্যু হয়েছে পুত্রের। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ছাত্রের মাথায় রক্ত জমে ‘হেমাটোমা’ তৈরির কারণ ফুটে ওঠে, যা মারধরের লক্ষ্মণ। এরপর হাসপাতালের কর্মীদের জেরা করে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পেটানোর বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত হন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, হাসপাতালের অন্য রোগীদেরও একইভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়।
[রাজ্যে প্রবেশ ১২ জেহাদির, গোয়েন্দা তথ্যে চাঞ্চল্য]