শুভময় মণ্ডল: লকডাউনের জেরে গোটা দেশে অনেক কাজকর্মই বন্ধ। তবে গ্রীষ্মে রক্তের জোগানে কোপ পড়েছে লকডাউনের জেরে। ব্লাড ব্যাংকগুলিতে রক্তের আকাল দেখা দিয়েছে। জমায়েত বন্ধ থাকার দরুন রক্তদান শিবিরগুলি করা যাচ্ছে না। ফলে সমস্যায় পড়েছে হাসপাতালগুলি। এই অবস্থায় রক্তসংকট মেটাতে এগিয়ে এল পুলিশ। রাজ্য সরকারের নির্দেশে কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ বুধবার থেকে গোটা মাস রক্তদান শিবির করবে। প্রতি দিন ৬০-৭০ জন পুলিশকর্মী রক্তদান করবেন। রাজ্য পুলিশের কর্মীরাও এ ভাবেই গোটা মাস ধরে রক্তদান করবেন।
স্বাস্থ্যদপ্তর গত ২২ মার্চ একটি নির্দেশিকা জারি করে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ৩০ জন পর্যন্ত রক্তদাতাকে নিয়ে শিবির আয়োজনের অনুমতি দেয় স্বাস্থ্যভবন। অ্যাসোসিয়েশন অব ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স জানিয়েছে, ১০টি গাইডলাইন দেওয়া হয়। একবারে ৪-৫ জনের বেশি রক্তদাতা থাকবেন না। রক্ত দেওয়ার ২৮ দিনের মধ্যে রক্তদাতাদের থাকবে না কোনও ভ্রমণের ইতিহাস। রক্তদানের আগে থার্মাল স্ক্রিন করতে হবে রক্তদাতার। এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কলকাতা পুলিশের তরফে প্রথম আয়োজিত হল রক্তদান শিবিরের। সেখানে ৬০-৭০ পর্যন্ত রক্ত দেন। তবে দূরত্ব ও অন্যান্য নির্দেশিকা মেনে হয় শিবির।
[আরও পড়ুন: রোগীর নমুনা নাইসেডে পাঠাল রেল হাসপাতাল, আতঙ্কে কাঁটা চিকিৎসক-নার্সরা]
এদিন, শিবিরে উপস্থিত হন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি পুলিশকর্মীদের এই মানবিক উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তাঁদের ধন্যবাদ জানান। এই বিপদের দিনে তাঁরা রক্তসংকট মেটাতে এমন মানবিক উদ্যোগ নিচ্ছে তাঁর প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সমস্ত ব্যবস্থাপনা তদারকি করেন মমতা।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে আরও এক COVID-19 আক্রান্তের মৃত্যু, লড়াই থামল নয়াবাদের বৃদ্ধের]