Advertisement
Advertisement
Kolkata

গুজরাট-পাঞ্জাবের সরকারি ভবনে বিস্ফোরণের হুমকি, কলকাতা থেকে এসটিএফের হাতে গ্রেপ্তার ২

ধৃত দুই যুবকের নাম সরোয়ার হোসেন ও হাবিব মোল্লা।

Kolkata STF nabs two for threatening to bomb govt buildings in Gujarat, Punjab | Sangbad Pratidin

প্রতীকী ছবি।

Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:October 20, 2022 8:48 am
  • Updated:October 20, 2022 8:48 am

অর্ণব আইচ: গুজরাট ও পাঞ্জাবে সরকারি ভবন উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি। বুধবার কলকাতা থেকে দু’জনকে গ্রেপ্তার করল কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। তাদের জেরা করে জানা যায়, বেআইনিভাবে সিমবক্স ব‌্যবহার করেই তারা এই হুমকি ফোন করে। তাদের জেরা করে পূর্ব কলকাতার আনন্দপুর, কড়েয়া ও বেনিয়াপুকুরে হানা দিয়ে তিনটি স্বয়ংক্রিয় কল সেন্টারের হদিশ মেলে, যেখান থেকে সিমকার্ডের মাধ‌্যমে নিয়ন্ত্রণ হচ্ছিল কল।

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই যুবকের নাম সরোয়ার হোসেন ও হাবিব মোল্লা। কলকাতা থেকে ভিনতরাজ্যের দুই সরকারি ভবনে ফোন করে তারা কেন হুমকি দিল, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। এই ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে কোনও জঙ্গি যোগ রয়েছে কি না, সেই তথ‌্য জানতেও তাদের জেরা করা হচ্ছে। ধৃত দুই যুবককে জেরা করতে পারেন গুজরাট ও পাঞ্জাবের গোয়েন্দারা। সম্প্রতি গুজরাট (Gujarat) ও পাঞ্জাবের দু’টি সরকারি ভবনে ফোন যায়। হিন্দিতে ফোন করে বলা হয়, ভবন উড়িয়ে দেওয়া হবে। যদিও তল্লাশি চালিয়ে কোথাও কোনও বিস্ফোরক মেলেনি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিজেপির কোর কমিটি থেকে বাদ জগন্নাথ সরকার, ‘আমি কাউকে তেল দিইনা’, অভিমানী সাংসদ]

এই মামলায় তদন্ত করে দুই রাজ্যের গোয়েন্দারা জানতে পারে যে, হুমকির কল এসেছিল কলকাতা থেকে। সেই তথ‌্য কলকাতা পুলিশকে জানানো হয়। এসটিএফ তদন্ত শুরু করে আনন্দপুরের গুলশন কলোনির দুই যুবককে শনাক্ত করে। তাদের জেরা করে জানা যায় যে, গার্ডেনরিচের আমির খান ও বিডন স্ট্রিটের শুভজিৎ শ্রীমানির আদলে আনন্দপুর, কড়েয়া ও বেনিয়াপুকুরে কল সেন্টার চালায় তারা। বিশেষ অ‌্যাপ ও সফ্টওয়‌্যারের মাধ‌্যমে ওই কল সেন্টারগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে। তার মূল চাবিকাঠি লুকিয়ে আছে সিমবক্সে। গোয়েন্দারা বেশ কিছু সিমবক্স উদ্ধারও করেন।

Advertisement

গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ওই সিমবক্স ব‌্যবহার করে দেশজুড়ে জালিয়াতি করা হত বলে অভিযোগ। ওই সিমবক্সের মাধ‌্যমেই ফোন করে দেওয়া হয় হুমকি। রাত পর্যন্ত ধৃতদের নিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। ওই সিমবক্স ব‌্যবহার করে কলকাতায় বসে কোনও জঙ্গি কার্যকলাপ চালানো হত কি না, তাও জানার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, কলকাতায় বাংলাদেশের (Bangladesh) জঙ্গি সংগঠন জেএমবি-র স্লিপার সেলের খোঁজ আগেই পেয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। তাই এই বিষয়টিও হালকা ভাবে নেওয়া হচ্ছে না।

[আরও পড়ুন: শিবপুরের ব্যবসায়ী শৈলেশের অ্যাকাউন্টে এক বছরে ২০৭ কোটি লেনদেন, টাকার উৎসের খোঁজে ইডি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ