Advertisement
Advertisement

Breaking News

প্রত্যাঘাত কাজে এল না, হরতালে কর্মীদের নামাতে না পেরে হতাশ বামেরা

মঙ্গলবারও বিমান, সূর্যকান্তদের পথে না নামাকে ‘কৌশলগত কারণ’ বলে পাশ কাটিয়েছিল সিপিএম।

Left's Bharat Bandh is failure
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:January 9, 2019 8:40 pm
  • Updated:January 9, 2019 8:40 pm

শুভময় মণ্ডল: ধর্মঘটে কর্মীদের পথে নামাতে না পেরে হতাশ রাজ্যের বাম নেতৃত্ব। জোড়া হরতালের প্রথম দিনে কর্মীদের কিছুটা পথে নামাতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেছিল সিপিএম। কিন্তু বুধবার কলকাতা-সহ রাজ্যের বেশিরভাগ জেলায় জনজীবন স্বাভাবিক ছিল। বাস চলেছে। দোকান-বাজার খুলেছে। অফিস-কাছারিতেও উপস্থিতি ছিল আর পাঁচটা দিনের মতো। অর্থাৎ ‘প্রত্যাঘাত’ বা ‘ইট মারলে পাটকেল খেতে হবে’ গোছের যেসব মন্তব্য করেছিলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক তা জলে গিয়েছে। কর্মীরা যেমন রাস্তায় নামেননি, তেমনই জনজীবনও স্বাভাবিক ছিল। হরতালের কোনও প্রভাবই পড়েনি কলকাতা-সহ রাজ্যের কোনও জেলায়। তবে এদিনও যাদবপুরে বাম পরিষদীয় বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী ও কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।

কলকাতায় হরতালে প্রভাব পড়েনি- এই মন্তব্য করে সূর্যকান্ত মিশ্রর অভিযোগ, “তৃণমূল পালটা আগ্রাসী মিছিল বের করেছিল। পুলিশ অতিসক্রিয় ছিল। তাই কলকাতা ও উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় বাস চলেছে। দোকান খুলেছে।” রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, গত দু’মাস ধরে জোড়া হরতালের বিরুদ্ধে লাগাতার প্রচার করেও তেমন সাড়া মেলেনি কারণ নিচুতলার কর্মীদের পথে নামাতে ব্যর্থ হয়েছেন বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্ররা। শুধু তাই নয়, রাজে্যর এক মন্ত্রীর হরতাল বিরোধী মন্তব্যের পর জেলায় জেলায় নিচুতলার সিপিএম কর্মীরা কার্যত ঘরে ঢুকে গিয়েছিলেন। তাই এদিন হরতালের কোনও প্রভাবই পড়েনি রাজ্যে। তবে কলকাতা, হাওড়া-সহ রাজ্যের কয়েকটি জেলায় বাস ভাঙচুরে দলীয় কর্মীদের একাংশ যে ছিল তা কার্যত মেনে নিয়ে সূর্যবাবু বলেছেন, “সব খতিয়ে দেখা হবে। কে বা কারা এই ঘটনায় যুক্ত।”

Advertisement

[আমহার্স্ট স্ট্রিটে পড়ুয়া বোঝাই পুলকারে হামলা ধর্মঘটীদের, আহত শিশুরা]

Advertisement

জোড়া হরতাল সফল করতে স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করেছিল সিপিএম। সেই কমিটিতে অন্য বাম দলগুলিকেও শরিক করেছিল। সিটু ও কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বিশেষ কমিটিও গঠন হয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় দিনে এইসব কমিটি কার্যত কোনও কাজেই আসেনি। কারণ একটাই, জড়তা কাটিয়ে কর্মীদেরই পথে নামাতে পারেনি বাম নেতৃত্ব। মঙ্গলবারও বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্রদের পথে না নামাকে ‘কৌশলগত কারণ’ বলে পাশ কাটিয়েছিল সিপিএম। এদিনও দিনভর তাঁদের রাস্তায় দেখা যায়নি। তবে বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়াহাট মোড়ে হরতালের সমর্থনে দলীয় সভা করে রাজ্য প্রশাসনের সমালোচনা করেন। বাম সরকারি কর্মচারী সংগঠনের পক্ষ থেকে ধর্মঘটীদের ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।

[ফের উত্তপ্ত যাদবপুর, পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বাধীন বাম কর্মীদের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ