সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শয়তান বললেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। রবিবার রাজ্যে অশান্তির ঘটনা বাড়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনাও করেন তৃণমূলেরই প্রাক্তন এই সাংসদ।
[আরও পড়ুন- বুধবার দক্ষিণ কলকাতায় বিস্তীর্ণ অংশে বন্ধ থাকবে পানীয় জলের সরবরাহ]
তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন শয়তানে পরিণত হয়েছেন। তিনি বিজেপি কর্মীদের রক্ত খেতে চান। বর্তমানে তিনি ও তাঁর দল রাজ্যের সাধারণ মানুষকে হিন্দু ও মুসলিম হিসেবে চিহ্নিত করে একে-অপরের বিরুদ্ধে লড়িয়ে দিতে চাইছে।” এরপরই রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানান তিনি। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযুক্ত করে বলেন,”আমাদের দলের কর্মীদের খুন করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তাই অবিলম্বে পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা উচিত। খুব তাড়াতাড়ি নির্বাচন করারও প্রয়োজন রয়েছে। কারণ প্রতিদিন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে।”
[আরও পড়ুন- যান চলাচলে গতি আনতে সিগন্যালে সময় কমানোর ভাবনা কলকাতা পুলিশের]
শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে প্রবল সংঘর্ষ হয়। এর জেরে দু’জন বিজেপি সমর্থক ও একজন তৃণমূল সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও বিজেপির অভিযোগ, তাদের পাঁচজন কর্মীকে খুন করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে রবিবারও উত্তেজনা ছড়ায় বসিরহাটে। দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, লকেট চট্টোপাধ্যায় ও শান্তনু ঠাকুর-সহ বিজেপি নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল বসিরহাট যায়। প্রথমে দুই বিজেপি কর্মীর দেহ কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার দাবি তোলে বিজেপি। কিন্ত, পুলিশ বাধা দেওয়া দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। একটা সময় রাস্তায় চিতা সাজিয়ে দলীয় কর্মীদের শেষকৃত্যের আয়োজন শুরু করে বিজেপি। যদিও পরে অপরাধীদের গ্রেপ্তারির বিষয়ে পুলিশের আশ্বাস পেয়ে নিজেদের অবস্থান থেকে পিছিয়ে আসে তারা। যদিও এখনও পর্যন্ত যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে ওই এলাকায়।