অর্ণব আইচ: ফুলবাগান কাণ্ডে (Phoolbagan) ব্যবহৃত অস্ত্র কোথা আনা হয়েছিল? নিজেই বিহার থেকে অস্ত্র এনেছিল নাকি কারও মারফত তা হাতে পেয়েছিল অমিত আগরওয়াল? তদন্ত শুরুর পর থেকেই এই রহস্যের জট কাটার চেষ্টা করছিলেন তদন্তকারীরা। অবশেষে ‘খুনি’ অমিতের কললিস্টের ভিত্তিতে অস্ত্র আমদানির রহস্যভেদ সম্ভব হল। জানা গিয়েছে, হাওড়া স্টেশনে এক যুবকের থেকে আগ্নেয়াস্ত্রটি নিয়েছিল অমিত। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই যুবককে।
ফুলবাগান কাণ্ডের তদন্ত শুরুর পরই পুলিশ আধিকারিকদের ভাবাচ্ছিল ৭ মার্চ তারিখটি। কারণ, জানা গিয়েছিল ওই দিন কয়েকঘণ্টার জন্য বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতায় (Kolkata) এসেছিল অমিত। কিন্তু কেন? সে বিষয়ে সম্পূর্ণ অন্ধকারে ছিলেন তদন্তকারীরা। এরপর ৭ মার্চের রহস্যভেদ করতে শুরু হয় ‘খুনি’র মোবাইলের কললিস্ট খতিয়ে দেখা। ওইদিন ফোনে অমিত যাদের সঙ্গে কথা বলেছিল তাঁদের মধ্যে থেকে পঙ্কজ কুমার নামে একজনকে চিহ্নিত করে তদন্তকারীরা। সেই পঙ্কজ কুমারে সূত্র ধরেই অস্ত্র লেনদেনের বিষয়টি স্পষ্ট হয়। জানা যায়, ৭ মার্চ অস্ত্রটি নিতেই কলকাতায় এসেছিল অমিত। হাওড়া স্টেশনে দেখা করেছিল পঙ্কজের সঙ্গে। সেখান থেকেই ল্যাপটপের ব্যাগে ভরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মানিকতলার ফ্ল্যাটে গিয়েছিল অভিযুক্ত। সেখানে ব্যাগটি রেখে ফের উড়ে গিয়েছিল বেঙ্গালুরু।
[আরও পড়ুন: অপরাধের রাজনীতি নিয়ে জেপি নাড্ডার মন্তব্যকে ‘আবোল তাবোল’ বললেন মমতা]
কিন্তু কীভাবে পঙ্কজের সঙ্গে যোগাযোগ হল অমিতের? সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই কি পরিচয়? নাকি বিহারে যাওয়ার পরই তার সঙ্গে পরিচয় হয় অভিযুক্তের? এই পরিচয়ের নেপথ্যে তৃতীয় কেউ নেই তো? এখন এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, পঙ্কজের বাড়ি বিহারেই। ৭ মার্চ অস্ত্র ডেলিভারি করতেই কলকাতায় এসেছিল সেও। এদিন বিহারের বাড়ি থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে।