Advertisement
Advertisement

Breaking News

Video Viral

Viral Video: রাতভর বাজি পুড়িয়ে হুল্লোড় এনআরএসে, ভিডিও ভাইরাল হতেই তুঙ্গে বিতর্ক

নিয়মভঙ্গে অভিযুক্ত জুনিয়র ডাক্তারদের শোকজ করলেন অধ্যক্ষ।

Video Viral: firecrackers burnt into NRS Medical College, authority showcases to the accussed junior doctors | Sangbad PratidinVideo Viral: firecrackers burnt into NRS Medical College, authority showcases to the accussed junior doctors
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:December 2, 2021 7:26 pm
  • Updated:December 2, 2021 8:29 pm

ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: টুর্নামেন্ট জিততেই হাসপাতাল চত্বরে বিজয়োল্লাসে মাতলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাও আবার যেমন-তেমনভাবে সেলিব্রেশন নয়, হাসপাতাল চত্বরে রাতভর বাজি পুড়িয়ে, মাইক বাজিয়ে জয়ের আনন্দ উদযাপন হল। খাস কলকাতার অন্যতম নামী সরকারি হাসপাতাল – এনআরএস (NRS Medical College) মেডিক্যাল কলেজের এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়ে পড়ল নিমেষেই। তা কর্তৃপক্ষের নজরে আসতেই কলেজের অধ্যক্ষ ডাক্তার শৈবাল মুখোপাধ্যায় জানান, প্রত্যেককে লিখিতভাবে শোকজ করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

জানা গিয়েছে, বুধবার আন্তঃকলেজ ক্রীড়া টুর্নামেন্ট চলছিল। ফাইনালে জেতে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকরা। আর এই আনন্দেই নিয়মের তোয়াক্কা না করে হাসপাতাল চত্বরেই বাজি পুড়িয়ে উল্লাসে মেতে উঠল বিজয়ী পক্ষ। রাতভর আতসবাজির (Firecrackers) ফোয়ারা, মাইক বাজিয়ে গান চলল হাসপাতালের ভিতরে। এমনকী নিষিদ্ধ শব্দবাজিও ফাটল। লাল-নীল-সবুজ আলোয় সাজানো হল হাসপাতাল চত্বর। একঝলকে দেখে বোঝার উপায় নেই যে এটি সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্র। সামনেই কোভিড (COVID-19) ওয়ার্ড, বহু সংকটজনক রোগীর চিকিৎসা চলছে। সেসবের দিকে নজর না দিয়ে কার্যত নিয়ম ভেঙেই হাসপাতালের মধ্যে সেলিব্রেশন চলল সারা রাত।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ধর্ষণের পর খুন? বানতলায় আইটি হাবের পাশে নির্মীয়মাণ বহুতলে তরুণীর দেহ উদ্ধারে রহস্য]

এনআরএস হাসপাতালের এই ভিডিও নিমেষেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল (Viral Video)। আর তারপরই টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের। সাংবাদিকরা এ নিয়ে প্রশ্ন তুললে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডাক্তার শৈবাল মুখোপাধ্যায় জানান, ”সকালে শুনেছি গোটা ব্যাপারটা। অভিযুক্তদের লিখিতভাবে শোকজ করেছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কারও কোনওরকম ছাড় নেই। তাদের কঠোরতর, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।”

[আরও পড়ুন: SSKM-এর নার্সদের আন্দোলন এক মাস বন্ধ রাখার নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের]

কিন্তু মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে এমন পদক্ষেপ নেওয়ার দিকে হাঁটতে হল কেন? ভাবী চিকিৎসক যাঁরা, যাঁদের হাতে মানুষের মরণ-বাঁচনের চাবিকাঠি, তাঁরা এতটা কাণ্ডজ্ঞানহীন হলেন কীভাবে? হাসপাতালের মধ্যে ‘শব্দদূষণ’ ঘটিয়ে এতজন রোগীর স্বাস্থ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হল কেন? এসব প্রশ্ন উঠছেই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ