Advertisement
Advertisement
রোদ

আসছে দাবদাহের দিন, বিদ্যুতের রেকর্ড চাহিদা মেটাতে প্রস্তুতি শুরু নিগমের

গরমের মোকাবিলায় এসি, ফ্যান চাহিদা তুঙ্গে৷

West Bengal electricity board is preparing for Summer
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:April 1, 2019 9:46 pm
  • Updated:April 1, 2019 9:48 pm

স্টাফ রিপোর্টার: আবার সে এসেছে ফিরিয়া। রাস্তায় বেরোলেই কপালে বিন্দু বিন্দু জল। পরনের জামা ভিজে সপসপে। ভ্যাপসা গরম চাহিদা তুঙ্গে এয়ার কন্ডিশন, সিলিং ফ্যানের। নতুন শীততাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের জন্য বাড়ির পুরনো কনসিল ওয়েরিং বদলে ফেলছেন অনেকেই। বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে খবর, বাড়িতে বাড়িতে শীততাপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্র লাগানোর জন্য প্রতিদিনই আবেদন জমা পড়ছে। চাহিদা মেটাতে রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগমও প্রস্তুতি নিচ্ছে।

                                      [ আরও পড়ুন :  বাংলায় সমস্যা রয়েছে, তাই ৭ দফায় ভোটের ব্যাখ্যা দিলেন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক]

সূত্রের খবর, গত বছর দৈনিক বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৭০০ মেগাওয়াট। এবার সেই চাহিদা বেড়ে ২৫০০ মেগাওয়াট হতে পারে। এপ্রিলের শেষে তাপমাত্রার পারদ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাহিদা আরও বাড়বে বলেই অনুমান বিদ্যুৎ বন্টন দফতরের। বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর জন্য কয়লা মজুত করতে শুরু করেছে তারা। 
এদিকে, অস্বস্তিসূচক জানান দিচ্ছে, গ্রীষ্মের দাবদাহ শুরু হয়ে গিয়েছে। দরদর করে ঘামতে শুরু করেছে শহর। একের পর এক কালবৈশাখীর পরিস্থিতি তৈরি হলেও সবক’টাই ছিনিয়ে নিয়েছে উত্তরবঙ্গ। বঞ্চিত দক্ষিণবঙ্গের কপালে স্রেফ দু’ফোঁটা জল আর বিদ্যুৎ চমক। “কখন আসবে কালবৈশাখী?” আকাশের দিকে তাকিয়ে হাপিত্যেশ করছেন মহানগর-সহ দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দারা।

Advertisement

                                  [ আরও পড়ুন : সাঁতরাগাছি ঝিলে ভাসছে মৃত মাছ, প্রশ্নচিহ্নের মুখে রক্ষণাবেক্ষণ]

Advertisement

তবে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর শুনিয়েছে আশার কথা। সপ্তাহের প্রথম দিকে সন্ধেবেলা নাগাদ হতে পারে ঝড়বৃষ্টি। উত্তরদিকে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। নিম্নচাপ অক্ষরেখার প্রভাবে জমা হচ্ছে জলভরা মেঘ। এই দুইয়ের সাঁড়াশি আক্রমণেই সোমবার রাজ্যে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়া দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এর মধ্যেই দক্ষিণবঙ্গে কালবৈশাখী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নির্দিষ্ট সতর্কবার্তা অবশ্য ঝড়ের কয়েক ঘন্টা আগে জারি করা হবে বলে হাওয়া অফিস থেকে জানা গিয়েছে।আর এর জন্যই অপেক্ষা করে বসে দক্ষিণবঙ্গবাসী৷ দিনে সূর্যের প্রখর তাপের পর সন্ধেয় একটু স্বস্তির আবহাওয়া না হলে ক্লান্ত শরীর, মন ঘর ফিরেও যে শান্তি পায় না৷ 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ