গৌতম ব্রহ্ম: করোনা যুদ্ধে এবার হাতিয়ার মিষ্টি! তুলসি, হলুদ, ছোট এলাচ, যষ্ঠীমধু, জায়ফল, আদা, গলঙ্গল, পিপুল, গোলমরিচ, কালোজিরে, তেজপাতা। এগারোটি ভেষজ। এবং ছানা। এই দিয়েই তৈরি করা হয়েছে ‘ইমিউনিটি সন্দেশ’। ভেষজের গুণ বজায় রাখতে চিনি বা গুড় ব্যবহার করা হয়নি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাবর্ধক মিষ্টিতে। ব্যবহার করা হয়েছে হিমালয়ের মধু। অন্তত এমনটাই দাবি করেছে মিষ্টি প্রস্তুতকারক ‘বলরাম মল্লিক’।
সংস্থার কর্ণধার সুদীপ মল্লিক জানিয়েছেন, “ছোট থেকেই ভেষজের সঙ্গে আমাদের পরিচয়। তা সে কালো জিরে হোক বা হলুদ। ছোট এলাচ হোক বা তেজপাতা। সবগুলিই কিন্তু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সবই আমরা রান্নায় ব্যবহার করি। আমার মনে হয় এই কারণেই বঙ্গদেশে করোনা এখনও তেমন সুবিধে করতে পারেনি।”
এই ভাবনা থেকেই সুগার ফ্রি ভেষজ সন্দেশ তৈরির আইডিয়া মাথায় আসে। তারপরই সুদীপবাবু আয়ুর্বেদ চিকিৎসদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কথা বলে তৈরি করেন সন্দেশের রেসিপি। সুদীপবাবু জানিয়েছেন, মিষ্টি মেশালে ভেষজের গুণ নষ্ট হয়ে যায়। তাই মধু মেশানো হয়েছে। কিন্তু হিমালয়ের মধু কেন? “আসলে সুন্দরবনের মধুতে ঝাঁজ আছে। তাই মিষ্টি তৈরি করা মুশকিল। হিমালয়ের মধুতে সে সমস্যা নেই।”-কারণটা স্পষ্ট করলেন সুদীপবাবু।
আয়ুর্বেদ চিকিৎসকরাও এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। তাঁদের মত, ভাগ-মাপ মেনে যদি ভেষজ মিষ্টি তৈরি করা হয় তাহলে কাজ হবেই। কারণ তুলসি থেকে শুরু করে হলুদ, যষ্ঠীমধু, কালো জিরে সবই ‘ইমিউনোমডিউলেটর’। এইসব ভেষজে অনুপান হিসাবে মধু ব্যবহার হয়। যা সন্দেশে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে। সুদীপবাবুর দাবি, করোনা ছডি়য়ে পড়ার পর থেকেই ভাবনাচিন্তা চলছিল। ঝড়ের আগেই পরীক্ষামূলকভাবে মিষ্টি তৈরি করা হয়। তবে বাজারজাত করা হল শনিবার থেকেই। মহার্ঘ্য এই সন্দেশের দাম রাখা হয়েছে পঁচিশ টাকা। সুদীপবাবুর আশা, করোনা পর্বে এই মিষ্টি মানুষের শরীর ও মনের জোর বাড়াবে। বিশ্বাস বাড়বে আয়ুর্বেদের উপর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.