সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রিয় মানুষটির ঠোঁটে ভালবাসা এঁকে দিতে কার না ভাল লাগে। প্রেমের গভীরতা বাড়লে প্রকৃতির নিয়মে বাড়ে শারীরিক আকর্ষণও। যার প্রথম পদক্ষেপ চুম্বন। গালে, কপালে, ঠোঁটে আলতো চুমুতে যেমন স্নেহ লুকিয়ে থাকে, তেমনই দুই ঠোঁটের গভীর মিলন উসকে দেয় যৌনতাকে। কিন্তু জানেন কি, এই ভালবাসাও হয়ে উঠতে পারে সর্বনাশা? মানে, ফ্রেঞ্চ কিস যেমন মনকে তৃপ্তি দেয়, তেমনই আপনার শরীরে অজান্তে ঢুকে পড়ে বড়সড় রোগ।
গবেষণা বলছে, গভীর চুম্বনের মাধ্যমেও হতে পারে গণোরিয়া রোগ। অর্থাৎ যে রোগ যৌন মিলন অথবা মুখমেহনের মাধ্যমে ছড়ায়, তা ফ্রেঞ্চ কিস করলেও পার্টনারের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। অ্যান্টিবায়োটিকও অনেক সময় সেক্ষেত্রে কাজে আসে না। তাই চুম্বনের আগে সাবধান। শুধু গণোরিয়াই নয়, আরও চার ধরনের রোগ শরীরে ঢুকতে পারে ফ্রেঞ্চ কিসের মাধ্যমে। কী কী? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
[আরও পড়ুন: একটুতেই গা গুলিয়ে ওঠে? শরীরে মারাত্মক অসুখ বাসা বাঁধছে না তো!]
ভালবাসার মুহূর্তে সঙ্গীর সর্দিকাশি হয়েছে কিনা সেসব কি আর খেয়াল থাকে? সব ভুলে পরস্পরের মধ্যে ডুব দিয়েই তখন তৃপ্ত হতে চান দু’জনই। কিন্তু পার্টনারের যদি ঠান্ডা লেগে থাকে, তবে ফ্রেঞ্চ কিস করলে আপনার শরীরেও ঢুকে পড়ে সেই জীবাণু। কারণ ঠোঁটের গভীর চুম্বনে নাক ও গলায় বাসা বাঁধা ব্যাকটেরিয়ার আপনার মধ্যে ঢুকে পড়তে কোনও সমস্যা হয় না।
হাঁচলে বা চুমু খেলে একজনের থেকে অন্যজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে স্ট্রেপ এ রোগ। যে রোগে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। সম্প্রতি একটি রিপোর্টে জানা গিয়েছে, গ্রুপ এ স্ট্রেপটোকোক্যাল ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশ করায় এসেক্সে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গলায় কোনও সংক্রমণ হলে কিংবা জ্বর হলে সাধারণত এই রোগে মানুষ আক্রান্ত হন। ফ্রেঞ্চ কিসের মাধ্যমে যা অন্যের শরীরে চলে যায়।
চুম্বন থেকে সরাসরি যে রোগ হতে পারে তা হল মোনোনিউক্লেওসিস। এক্ষেত্রে দেহে সংক্রমিত হয় Epstein-Barr ভাইরাসটি। গলা ব্যথা, অবসাদ, গলায় ফুসকুড়ি, জ্বর ইত্যাদি থেকেই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে।
[আরও পড়ুন: স্মার্টফোনে মাত্রাতিরিক্ত আসক্তি, বিপদ ডেকে এনেছিল চার বছরের শিশু!]
ধরুন পার্টনারের ঠোঁট বা মুখগহ্বরের কোনও অংশ কেটে গিয়েছে। সেই অবস্থায় ফ্রেঞ্চ কিস করছেন। এক্ষেত্রে অনেক সময় হেপাটাইটিস বি সংক্রমিত হয়। রক্ত থেকেই সাধারণত এ রোগ ছড়ায়। তাই ভালবাসুন, তবে সাবধানে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রতিবেদনটি তুলে ধরা হয়েছে। আপনি যদি কোনও রোগে আক্রান্ত হন, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।