সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউনে গৃহবন্দি মানুষ। করোনার জেরে সাধারণের জীবনযাপনের উপর রাশ টানতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্র। পরিযায়ী শ্রমিক থেকে ভিনরাজ্যে আটকে পড়া পর্যটক, সকলকেই সমস্যায় পড়তে হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গ্রাহকদের খানিকটা স্বস্তি দিয়েছে টেলিকম সংস্থাগুলি। পরিবারের সঙ্গে যাতে প্রত্যেকে নির্ঝঞ্ঝাটে ফোনে যোগাযোগ রাখতে পারেন, তার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে রিলায়েন্স জিও, ভোডাফোন-আইডিয়া, এয়ারটেল এবং বিএসএনএল। টকটাইমের মেয়াদ বাড়িয়ে ১৭ এপ্রিল করে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে গ্রাহকদের অতিরিক্ত ১০ টাকার রিজার্চও করে দেওয়া হচ্ছে।
যাঁদের ইন্টারনেট কানেকশন নেই কিংবা মোবাইলের দোকানে গিয়েই ফোন নম্বর রিচার্জ করান, টেলিকম সংস্থার এই উদ্যোগ তাঁদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। লকডাউনের মধ্যে অন্তত এই ঝক্কি থেকে মুক্তি পেলেন সেই সমস্ত প্রিপেড গ্রাহকরা। চলুন দেখে নেওয়া যাক, দেশের এমন কঠিন পরিস্থিতিতে কোন কোম্পানি কী অফার দিচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ভারতের পাশে TikTok, করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্যকর্মীদের পোশাক ও মাস্ক দেবে চিনা সংস্থা]
এয়ারটেল:
গ্রাহকদের ফ্রি পরিষেবা দিতে সবার আগে এগিয়ে এসেছে এয়ারটেল। যাদের আয় কম, সেই সমস্ত গ্রাহকদের জন্য প্ল্যানের মেয়াদ চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে তারা। পাশাপাশি আট কোটি গ্রাহককে ১০ টাকার রিচার্জ করিয়ে দিচ্ছে সংস্থা। অর্থাৎ এক জন্য গ্রাহককে কোনও খরচ করতে হবে না।
রিলায়েন্স জিও:
সমস্ত গ্রাহকদের প্ল্যানের মেয়াদ ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ১০০ মিনিট অতিরিক্ত টকটাইম এবং ১০০টি অতিরিক্ত মেসেজের সুবিধাও দিচ্ছে জিও। সঙ্গে এও জানানো হয়েছে, প্ল্যানের মেয়াদ ফুরিয়ে গেলেও ইনকামিং কলের পরিষেবা চালু থাকবে।
ভোডাফোন-আইডিয়া:
যাঁরা ফিচার ফোন ব্যবহার করেন, তাঁদের প্রত্যেকের প্রিপেড প্যাকের মেয়াদ বাড়িয়ে দিচ্ছে সংস্থা। সেই সঙ্গে ফিচার ফোন ব্যবহারকারীদের অতিরিক্ত ১০টাকার রিচার্জও করে দেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: এবার ব্যাংকের ATM থেকেই রিচার্জ করতে পারবেন জিও নম্বর, জেনে নিন পদ্ধতি]
এমটিএনএল ও বিএসএনএল:
এই দুই টেলিকম সংস্থার গ্রাহকদের প্ল্যানের মেয়াদ ২০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। অন্যান্য কোম্পানির মতো তারাও গ্রাহকদের অতিরিক্ত ১০ টাকার টকটাইম রিচার্জ করে দিচ্ছে।
দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সমস্ত টেলিকম সংস্থাকে গ্রাহকদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছিল ভারতীয় টেলিকম অথরিটি (TRAI)। প্ল্যানে মেয়াদ বাড়ানোরও অনুরোধ করা হয়। তারপরই এই সিদ্ধান্ত নিল সংস্থাগুলি।